29. আবাস-তাম্বুর দক্ষিণ দিকে কহাতীয়দের তাম্বু ফেলতে বলা হয়েছিল।
30. কহাতীয় বংশগুলোর নেতা ছিলেন উষীয়েলের ছেলে ইলীষাফণ।
31. কহাতীয়দের দায়িত্ব ছিল সাক্ষ্য-সিন্দুক, টেবিল, বাতিদান, কোরবানগাহ্ ও ধূপগাহ্, পবিত্র তাম্বুর এবাদত-কাজে ব্যবহারের জিনিসপত্র এবং মহাপবিত্র স্থানের পর্দার দেখাশোনা করা আর এগুলোর সংগেকার অন্য সমস্ত কাজ করা।
32. লেবীয়দের প্রধান নেতা ছিলেন ইমাম হারুনের ছেলে ইলীয়াসর। পবিত্র তাম্বুর দেখাশোনা করবার ভার যাদের দেওয়া হয়েছিল তাদের দেখাশোনা করবার জন্য ইলীয়াসরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
33. মরারি ছিলেন মহলি ও মূশির বংশের পূর্বপূরুষ।
34. এই বংশগুলোর এক মাস ও তার বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষদের গণনার পর দেখা গেল যে, তাদের সংখ্যা ছয় হাজার দু’শো।
35. মরারীয় বংশগুলোর নেতা ছিলেন অবীহয়িলের ছেলে সূরীয়েল। আবাস-তাম্বুর উত্তর দিকে তাদের তাম্বু ফেলতে বলা হয়েছিল।
36. মরারীয়দের দায়িত্ব ছিল আবাস-তাম্বুর ফ্রেম, তার হুড়কা, খুঁটি, পা-দানি ও তার সমস্ত জিনিসপত্র,
37. চারদিকের উঠানের খুঁটি আর পা-দানি, উঠানের পর্দার গোঁজ ও দড়িগুলো দেখাশোনা করা এবং এগুলোর সংগেকার অন্য সব কাজ করা।
38. মিলন-তাম্বুর সামনে, অর্থাৎ আবাস-তাম্বুর পূর্ব দিকে মূসা, হারুন ও তাঁর ছেলেদের তাম্বু ফেলতে বলা হয়েছিল। তাঁদের দায়িত্ব ছিল বনি-ইসরাইলদের হয়ে পবিত্র তাম্বুর সমস্ত কাজ পরিচালনা করা। তাঁরা ছাড়া আর কেউ পবিত্র তাম্বুর কাছে গেলে তাকে হত্যা করতে বলা হয়েছিল।
39. মাবুদের হুকুমে বংশ অনুসারে মূসা ও হারুনের গণনা করা লেবীয় পুরুষদের মোট সংখ্যা হয়েছিল বাইশ হাজার। এরা প্রত্যেকেই ছিল এক মাস ও তার বেশী বয়সের।
40. এর পর মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি বনি-ইসরাইলদের মধ্যে প্রথমে জন্মেছে এমন সব এক মাস ও তার বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষদের সংখ্যা গণনা করে তাদের নামের একটি তালিকা তৈরী কর।
41. বনি-ইসরাইলদের সমস্ত প্রথম পুরুষ সন্তানদের জায়গায় লেবীয়দের এবং বনি-ইসরাইলদের পশুর প্রথম বাচ্চার জায়গায় লেবীয়দের পশুর প্রথম বাচ্চা আমার বলে ধরে নেবে। আমি মাবুদ।”
42. মাবুদের দেওয়া হুকুম অনুসারে মূসা বনি-ইসরাইলদের মধ্যে প্রথমে জন্মেছে এমন সব পুরুষদের গণনা করলেন।