22. কিন্তু তাঁকে যেতে দেখে আল্লাহ্ তাঁর উপর রেগে গেলেন। তাঁকে বাধা দেবার জন্য মাবুদের ফেরেশতা পথে দাঁড়িয়ে রইলেন। বালাম গাধীর উপর চড়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর দু’জন গোলাম তাঁর সংগে ছিল।
23. মাবুদের ফেরেশতাকে তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গাধীটা রাস্তা ছেড়ে মাঠে নেমে গেল। গাধীটাকে আবার রাস্তায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বালাম তাকে মারতে লাগলেন।
24. মাবুদের ফেরেশতা তারপর দু’টা আংগুর ক্ষেতের মাঝখানের একটা সরু পথের উপর গিয়ে দাঁড়ালেন। পথটার দু’দিকেই দেয়াল ছিল।
25. মাবুদের ফেরেশতাকে দেখে গাধীটা দেয়ালের গা ঘেঁষে চলল। তাতে বালামের একটা পায়ে ভীষণ ঘষা লাগল। তখন বালাম আবার গাধীটাকে মারতে লাগলেন।
26. এর পর মাবুদের ফেরেশতা এগিয়ে গিয়ে পথের এমন একটা সরু জায়গায় দাঁড়ালেন যেখানে ডানে-বাঁয়ে ঘুরবার পথ ছিল না।
27. মাবুদের ফেরেশতাকে দেখে গাধীটা বালামকে নিয়ে শুয়ে পড়ল। এতে বালাম রেগে গিয়ে লাঠি দিয়ে গাধীটাকে মারলেন।
28. তখন মাবুদ গাধীটার মুখ খুলে দিলেন। সে বালামকে বলল, “আমি আপনার কি করেছি যে, আপনি এই নিয়ে তিনবার আমাকে মারলেন?”
29. জবাবে বালাম সেই গাধীকে বললেন, “তুমি আমাকে বোকা বানিয়েছ। আমার হাতে যদি একটা তলোয়ার থাকত তাহলে এখনই আমি তোমাকে মেরে ফেলতাম।”
30. গাধীটা বালামকে বলল, “আমি কি আপনার সেই গাধী নই যার উপর আপনি সারা জীবন চড়ে আসছেন? আপনার সংগে কি এই রকম ব্যবহার করা আমার অভ্যাস?”বালাম বললেন, “না, তা কর নি।”
31. এর পর মাবুদ বালামের চোখ খুলে দিলেন আর তিনি মাবুদের ফেরেশতাকে তলোয়ার হাতে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। তাতে তিনি মাথা নীচু করে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন।