20. এর পর মাবুদ হারুনকে বললেন, “ইসরাইলীয়দের দেশে তুমি কোন সম্পত্তির অধিকারী হবে না এবং জমাজমির কোন অংশও তুমি পাবে না। বনি-ইসরাইলদের মধ্যে আমিই তোমার পাওনা অংশ, আমিই তোমার সম্পত্তি।
21. “বনি-ইসরাইলরা তাদের আয়ের যে দশ ভাগের এক ভাগ আমাকে দেবে তা আমি পাওনা হিসাবে লেবীয়দের দিলাম। মিলন-তাম্বুর এবাদত-কাজের বদলে তারা তা পাবে।
22. এখন থেকে অন্য বনি-ইসরাইলরা আর মিলন-তাম্বুর কাছে যেতে পারবে না। তা করলে তারা তাদের গুনাহের ফল ভোগ করবে আর মারা যাবে।
23. লেবীয়রাই মিলন-তাম্বুর কাজ করবে এবং সেই সম্পর্কে তাদের সব অন্যায়ের জন্য তারাই দায়ী হবে। বংশের পর বংশ ধরে এটাই হবে একটা স্থায়ী নিয়ম। অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের মধ্যে লেবীয়রা কোন সম্পত্তির অধিকারী হবে না।
24. তার বদলে বনি-ইসরাইলরা মাবুদের কাছে দান হিসাবে তাদের আয়ের যে দশ ভাগের এক ভাগ উপস্থিত করবে তা-ই আমি পাওনা হিসাবে তাদের দিলাম। সেইজন্যই আমি মাবুদ তাদের সম্বন্ধে বলেছি, লেবীয়রা অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের মধ্যে কোন সম্পত্তির অধিকারী হবে না।”
25-26. এর পর মাবুদ মূসাকে লেবীয়দের এই কথা বলতে বললেন, “অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের আয়ের যে দশ ভাগের এক ভাগ আমি তোমাদের পাওনা হিসাবে দিচ্ছি তা পাবার পর তা থেকে দশ ভাগের এক ভাগ মাবুদের উদ্দেশে তোমাদের কোরবানী করতে হবে।
27. এই কোরবানীই তোমাদের পক্ষে তোমাদের নিজেদের খামার-বাড়ীর ফসল এবং নিজেদের মাড়াই করা আংগুর-রস হিসাবে ধরা হবে।
28. তোমরা অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের কাছ থেকে তাদের আয়ের যে দশ ভাগের এক ভাগ পাবে তার মধ্য থেকে এইভাবে তোমাদেরও মাবুদের উদ্দেশে কিছু কোরবানী করতে হবে। এই দশ ভাগের এক ভাগ থেকে মাবুদের অংশটা তোমরা ইমাম হারুনের হাতে দেবে।
29. যা কিছু তোমাদের দেওয়া হবে তার মধ্য থেকে সবচেয়ে ভাল অংশটা, যা পবিত্র, তার সবটাই তোমরা মাবুদের পাওনা হিসাবে দেবে।
30. “সবচেয়ে ভাল অংশটা মাবুদকে দেবার পরে যা বাকী থাকবে তা তোমাদের পক্ষে তোমাদের নিজেদের খামার-বাড়ীর ফসল এবং নিজেদের মাড়াই করা আংগুর-রস হিসাবে ধরা হবে।
31. তোমরা ও তোমাদের পরিবার যে কোন জায়গায় তা খেতে পারবে কারণ সেটা হবে মিলন-তাম্বুতে তোমাদের কাজের বেতন।
32. এতে তোমাদের কোন দোষ হবে না, কারণ সবচেয়ে ভাল অংশটাই তোমরা মাবুদকে দিয়েছ। তাহলে তোমরা বনি-ইসরাইলদের দেওয়া পাক-পবিত্র জিনিস অপবিত্র করবার দোষে দোষী হবে না এবং তোমরা মারাও যাবে না।”