23. জবাবে মাবুদ মূসাকে বললেন, “মাবুদের কুদরত কি এতই কম? আমার কথাটা তোমার কাছে সত্যি হয়ে ওঠে কি না তা তুমি এবার দেখতে পাবে।”
24. এই কথা শুনে মূসা বাইরে গিয়ে মাবুদ যা বলেছেন তা লোকদের জানালেন। তিনি বনি-ইসরাইলদের সত্তরজন বৃদ্ধ নেতাকে এনে মিলন-তাম্বুর সামনে দাঁড় করালেন।
25. তখন মাবুদ সেই মেঘে ঘেরাও হয়ে নেমে এসে মূসার সংগে কথা বললেন। মূসার উপর যে রূহ্ ছিলেন তাঁকে তিনি ঐ সত্তরজন বৃদ্ধ নেতার উপরেও দিলেন। যখন সেই রূহ্ তাঁদের উপর আসলেন তখন কিছুকালের জন্য তাঁরা নবী হিসাবে কথা বললেন।
26. ইল্দদ আর মেদদ নামে দু’জন লোক ছাউনির মধ্যেই রয়ে গিয়েছিলেন। বেছে নেওয়া বৃদ্ধ নেতাদের মধ্যে এই দু’জনও ছিলেন, কিন্তু তারা মিলন-তাম্বুর কাছে যান নি। তবুও তাঁদের উপর সেই রূহ্ এসেছিলেন। তাতে তাঁরাও ঐ সময় ছাউনির মধ্যে নবী হিসাবে কথা বলতে লাগলেন।
27. একজন যুবক দৌড়ে গিয়ে মূসাকে বললেন, “ইল্দদ আর মেদদ ছাউনির ভিতরে নবী হিসাবে কথা বলছেন।”
28. তখন নূনের ছেলে ইউসা মূসাকে বললেন, “হে আমার প্রভু, ওদের চুপ করবার নির্দেশ দিন।” ইউসা যুবা বয়স থেকে মূসার সাহায্যকারী ছিলেন।
29. জবাবে মূসা বললেন, “আমার মান-সম্মান টাই তোমার কাছে বড় হয়ে উঠল? আমি চাই মাবুদের সব লোকেরাই যেন নবী হয় এবং মাবুদ যেন তাঁর রূহ্ তাদের উপর দেন।”
30. এর পর মূসা ও ইসরাইলীয় বৃদ্ধ নেতারা ছাউনিতে ফিরে গেলেন।
31. পরে মাবুদ একটা বাতাস বহালেন। সেই বাতাস সমুদ্র থেকে ভারুই পাখী ঠেলে এনে ছাউনির চারপাশে এক দিনের পথ জুড়ে এমনভাবে ফেলে দিল যে, সেগুলো মাটি থেকে দু’হাত পর্যন্ত উঁচু হয়ে গাদা হয়ে রইল।
32. সেই দিন ও সেই রাত এবং তার পরের সারাটা দিন লোকেরা বাইরে গিয়ে ভারুই পাখী কুড়িয়ে আনল। তারা প্রত্যেকেই কমপক্ষে এক হাজার আটশো কেজি করে কুড়াল। সেগুলো তারা ছাউনির চারপাশে বিছিয়ে রাখল।
33. কিন্তু সেই গোশ্ত মুখে দিয়ে চিবাতে না চিবাতেই লোকদের বিরুদ্ধে মাবুদ রাগে জ্বলে উঠলেন। তিনি তাদের উপর একটা ভীষণ মহামারী পাঠিয়ে দিলেন।
34. সেইজন্য সেই জায়গাটার নাম দেওয়া হল কিব্রোৎ-হত্তাবা (যার মানে “লোভীদের কবর”), কারণ লোকেরা সেখানে লোভীদের দাফন করেছিল।