3. মিলন-তাম্বুর মধ্যে সাক্ষ্য-সিন্দুকের পর্দার বাইরে হারুনকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত মাবুদের সামনে বাতিগুলোর দেখাশোনা করতে হবে। বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে একটা স্থায়ী নিয়ম।
4. মাবুদের সামনে রাখা খাঁটি সোনার বাতিদানের উপরকার বাতিগুলোর নিয়মিত ভাবেই দেখাশোনা করতে হবে।
5. “মিহি ময়দা দিয়ে বারোটা রুটি সেঁকে নিতে হবে। প্রত্যেকটা রুটির জন্য তিন কেজি ছ’শো গ্রাম ময়দা নিতে হবে।
6. তারপর মাবুদের সামনে রাখা খাঁটি সোনার টেবিলের উপর ঐ রুটিগুলো ছয়টা ছয়টা করে দুই সারিতে সাজিয়ে রাখতে হবে।
7. প্রত্যেকটি রুটির সারির কাছে খাঁটি লোবান রাখতে হবে। রুটির বদলে এই লোবান দিয়ে মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানী দিতে হবে।
8. বনি-ইসরাইলদের পক্ষ থেকে এই রুটি প্রত্যেক বিশ্রামবারে নিয়মিত ভাবে মাবুদের সামনে সাজিয়ে রাখতে হবে। তাদের এই রুটি রাখবার কাজটা হবে একটা চিরকালের নিয়ম।
9. এই রুটি হারুন ও তার ছেলেরা পবিত্র তাম্বু-ঘরের এলাকায় খাবে, কারণ মাবুদের উদ্দেশে আগুনে দেওয়া-কোরবানীর জিনিসের মধ্যে এটা একটা মহাপবিত্র জিনিস। এটা তাদের সব সময়কার পাওনা।”
10. বনি-ইসরাইলদের মধ্যে এমন একজন লোক বাস করত যার মা ছিল ইসরাইলীয় আর পিতা মিসরীয়। ছাউনির মধ্যে সেই লোকটির সংগে একজন ইসরাইলীয়ের মারামারি বেধে গেল।
13. এতে মাবুদ মূসাকে বললেন,
14. “যে লোকটি কুফরী করেছে তাকে ছাউনির বাইরে নিয়ে যাও। যারা তাকে কুফরী করতে শুনেছে তারা সবাই তার মাথার উপর হাত রাখুক, তারপর বনি-ইসরাইলরা তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করুক।
15. তুমি বনি-ইসরাইলদের জানিয়ে দাও যদি কেউ তার আল্লাহ্কে বদদোয়া দেয় তবে তাকে তার জন্য দায়ী করা হবে।
16. যে মাবুদের নাম নিয়ে কুফরী করবে তাকে হত্যা করতেই হবে। বনি-ইসরাইলরা তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে। ইসরাইলীয়ই হোক বা তাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকই হোক, যে কেউ কুফরী করবে তাকে হত্যা করতেই হবে।
17. “যদি কেউ কাউকে খুন করে তবে তাকেও হত্যা করতে হবে।
18. যদি কেউ অন্যের পশু মেরে ফেলে তবে তাকে একটা প্রাণের বদলে আর একটা প্রাণ দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
19. যদি কেউ কাউকে আঘাত করে আর তাতে তার শরীরের ক্ষতি হয় তবে সে যা করেছে তার প্রতিও তা-ই করতে হবে-