6. কোরবানীর দিনে কিংবা তার পরের দিনের মধ্যেই কোরবানীর গোশ্ত তোমাদের খেয়ে ফেলতে হবে। তৃতীয় দিনে যদি কিছু বাকী থেকেই যায় তবে তা পুড়িয়ে দিতে হবে,
7. কারণ তৃতীয় দিনে সেই গোশ্ত নাপাক হয়ে যায়। যদি কেউ সেই গোশ্ত খায় তবে মাবুদ সেই কোরবানী আর কবুল করবেন না।
8. যে তা খাবে তাকে তার অন্যায়ের জন্য দায়ী করা হবে, কারণ তাতে আমার পাক-পবিত্র জিনিসকে অপবিত্র করা হবে। সেই লোককে তার জাতি থেকে মুছে ফেলতে হবে।
9. “ফসল কাটবার সময়ে তোমরা ক্ষেতের কিনারার ফসল কাটবে না এবং ক্ষেতে যা পড়ে থাকবে তা-ও কুড়াবে না।
10. আংগুর ক্ষেত থেকে আংগুর তোলা হয়ে গেলে আবার তোমরা সেই ক্ষেতে আংগুর তুলতে যাবে না এবং পড়ে থাকা আংগুর কুড়াবে না। গরীব ও ভিন্ন জাতির লোকদের জন্য তা রেখে দিতে হবে। আমি আল্লাহ্ তোমাদের মাবুদ।
11. “চুরি করা চলবে না, কাউকে ঠকানো চলবে না, মিথ্যা কথা বলা চলবে না।
12. আমার নাম নিয়ে মিথ্যা ওয়াদা করে তোমাদের আল্লাহ্র নামের পবিত্রতা নষ্ট করা চলবে না। আমি মাবুদ।
13. “কোন মানুষের উপর অন্যায় সুবিধা নেওয়া কিংবা জুলুম করে তার জিনিস নেওয়া চলবে না। মজুরের দিনের পাওনা দিনেই দিয়ে দিতে হবে; তা সকাল পর্যন্ত আট্কে রাখা চলবে না।
14. যে কানে শোনে না তাকে বদদোয়া দেবে না কিংবা যে চোখে দেখে না তার পথে উচোট খাবার মত কোন জিনিস রাখবে না। তোমরা তোমাদের আল্লাহ্কে ভয় করে চলবে। আমি মাবুদ।
15. “অন্যায় বিচার করা চলবে না। বিচারে ছোট-বড় কারও পক্ষ নেওয়া চলবে না; তোমরা প্রত্যেকের প্রতি ন্যায়বিচার করবে।
16. কারও নিন্দা করে বেড়ানো চলবে না। কোন মানুষের প্রাণের ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করা চলবে না। আমি মাবুদ।
17. “অন্যের প্রতি মনের মধ্যে ঘৃণা পুষে রাখা চলবে না। অন্যের দোষ অবশ্যই দেখিয়ে দিতে হবে যাতে তার দরুন তোমরা নিজেরা দোষী না হও।
18. প্রতিশোধ নেওয়া চলবে না, কিংবা কারও বিরুদ্ধে মনের মধ্যে হিংসার ভাব পুষে রাখা চলবে না। প্রত্যেক মানুষকে নিজের মত করে মহব্বত করতে হবে। আমি মাবুদ।
19. “আমার নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিভিন্ন জাতের পশুদের মধ্যে সহবাস ঘটানো চলবে না। একই ক্ষেতে দুই রকম বীজ বোনা চলবে না। দুই জাতের সুতায় বোনা কাপড় পরা চলবে না।