16. “কোন পুরুষের বীর্যপাত হলে তাকে পানি দিয়ে তার গোটা শরীরটা ধুয়ে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
17. কোন কাপড় বা চামড়ার জিনিসে বীর্য লাগলে সেটা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটা নাপাক থাকবে।
18. কোন পুরুষ যখন কোন স্ত্রীলোককে নিয়ে শোয় তখন বীর্যপাত হলে দু’জনকেই পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
19. “স্ত্রীলোকের নিয়মিত মাসিকের রক্তের দরুন নাপাক অবস্থা সাত দিন ধরে চলবে। এই সময় যে তাকে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
20. এই সময়ের মধ্যে সে যেটার উপর শোবে বা বসবে তা সবই নাপাক হবে।
21. যে তার বিছানা ছোঁবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক অবস্থায় থাকবে।
22. সেই স্ত্রীলোক যার উপর বসেছে তা যদি কেউ ছোঁয়, তবে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে তাকে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
23. তার বিছানা বা আসন যে ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
24. যদি কোন পুরুষ এই রকম স্ত্রীলোককে নিয়ে শোয় এবং তার মাসিকের রক্ত তার গায়ে লাগে তবে সে সাত দিন পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে। এই সাত দিনের মধ্যে সে যে বিছানায় শোবে তা-ও নাপাক হবে।
25. “মাসিক ছাড়াও যদি কোন স্ত্রীলোকের অনেক দিন ধরে রক্তস্রাব হতে থাকে কিংবা মাসিকের নিয়মিত সময় পার হয়ে যাবার পরেও যদি তার স্রাব হতে থাকে তবে যতদিন ধরে তা চলবে ততদিন পর্যন্ত সে তার মাসিকের সময়ের মতই নাপাক অবস্থায় থাকবে।
26. মাসিকের সময়ে যেমন হয় তেমনি এই স্রাবের সময়েও সে যে বিছানায় শোবে এবং যার উপর বসবে তা নাপাক হবে।
27. যে সেই বিছানা বা আসন ছোঁবে সে-ও নাপাক হবে; তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে পানিতে গোসল করে ফেলতে হবে, আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক অবস্থায় থাকবে।
28. তার সেই রক্তস্রাব থেমে যাবার পরেও তাকে গুণে সাতটা দিন কাটাতে হবে এবং ঐ দিনেই সে পাক-সাফ হবে।
29. আট দিনের দিন তাকে দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর নিয়ে মিলন-তাম্বুর দরজার সামনে ইমামের কাছে যেতে হবে।