46. সাহাবীদের মধ্যে কে সবচেয়ে বড় সেই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে তর্ক হচ্ছিল।
47. ঈসা তাঁদের মনের চিন্তা বুঝতে পেরে একটা শিশুকে নিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালেন।
48. তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “যে কেউ আমার নামে এই শিশুকে গ্রহণ করে সে আমাকেই গ্রহণ করে। যে আমাকে গ্রহণ করে, আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন সে তাঁকেই গ্রহণ করে। তোমাদের সকলের মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট, সে-ই বড়।”
49. ইউহোন্না বললেন, “হুজুর, আপনার নামে আমরা একজনকে ভূত ছাড়াতে দেখেছি। সে আমাদের দলের লোক নয় বলে আমরা তাকে নিষেধ করেছি।”
50. ঈসা তাঁকে বললেন, “আর নিষেধ কোরো না, কারণ যে তোমাদের বিপক্ষে থাকে না সে তো তোমাদের পক্ষেই আছে।”
51. যখন ঈসার বেহেশতে যাবার সময় হয়ে আসল তখন তিনি জেরুজালেমে যাবার জন্য মন স্থির করলেন।
52. তিনি আগেই সেখানে লোকদের পাঠিয়ে দিলেন। তারা ঈসার জন্য সব কিছু ব্যবস্থা করতে সামেরীয়দের একটা গ্রামে ঢুকল,
53. কিন্তু ঈসা জেরুজালেমে যাচ্ছেন বলে সেই গ্রামের লোকেরা তাঁকে গ্রহণ করল না।
54. তা দেখে তাঁর সাহাবী ইয়াকুব ও ইউহোন্না বললেন, “হুজুর, আপনি কি চান যে, নবী ইলিয়াসের মত আমরা এদের ধ্বংস করবার জন্য বেহেশত থেকে আগুন নেমে আসতে বলব?”
55. ঈসা তাঁদের দিকে ফিরে তাঁদের ধমক দিলেন।
56. তারপর তাঁরা অন্য গ্রামে গেলেন।
57. তাঁরা পথে যাচ্ছেন এমন সময় একজন লোক ঈসাকে বলল, “আপনি যেখানে যাবেন আমিও আপনার সংগে সেখানে যাব।”
58. ঈসা তাকে বললেন, “শিয়ালের গর্ত আছে এবং পাখীর বাসা আছে, কিন্তু ইব্ন্তেআদমের মাথা রাখবার জায়গা কোথাও নেই।”
59. পরে তিনি অন্য আর একজনকে বললেন, “আমার সংগে চল।”কিন্তু সেই লোক বলল, “হুজুর, আগে আমার বাবাকে দাফন করে আসতে দিন।”