38. তখন ভিড়ের মধ্য থেকে একজন লোক চিৎকার করে ঈসাকে বলল, “হুজুর, দয়া করে আমার ছেলেটাকে দেখুন। সে আমার একমাত্র ছেলে।
39. তাকে একটা ভূতে ধরে এবং সে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে। সেই ভূত যখন তাকে মুচড়ে ধরে তখন তার মুখ থেকে ফেনা বের হয়; তারপর সে তাকে খুব কষ্ট দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ছেড়ে দেয়।
40. আমি আপনার সাহাবীদের কাছে কাকুতি-মিনতি করেছিলাম যেন তাঁরা সেই ভূতকে ছাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”
41. তখন ঈসা বললেন, “বেঈমান ও দুষ্ট লোকেরা! আর কতদিন আমি তোমাদের সংগে থাকব ও তোমাদের সহ্য করব? তোমার ছেলেকে এখানে আন।”
42. ছেলেটা যখন আসছিল তখন সেই ভূত তাকে আছাড় মেরে মুচড়ে ধরল। এতে ঈসা সেই ভূতকে ধমক দিলেন এবং ছেলেটিকে সুস্থ করে তার পিতার কাছে ফিরিয়ে দিলেন।
43. আল্লাহ্ যে কত মহান তা দেখে সবাই আশ্চর্য হল।ঈসা যা করছিলেন সেই বিষয়ে সবাই যখন আশ্চর্য হয়ে ভাবছিল তখন তিনি তাঁর সাহাবীদের বললেন,
44. “আমার এই কথা মন দিয়ে শোন, ইব্ন্তেআদমকে লোকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে।”
45. সাহাবীরা কিন্তু সেই কথা বুঝলেন না। আল্লাহ্ তাঁদের কাছ থেকে তা গোপন রেখেছিলেন যেন তাঁরা বুঝতে না পারেন। এই নিয়ে কোন কথা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করতেও সাহাবীদের ভয় হল।
46. সাহাবীদের মধ্যে কে সবচেয়ে বড় সেই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে তর্ক হচ্ছিল।
47. ঈসা তাঁদের মনের চিন্তা বুঝতে পেরে একটা শিশুকে নিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালেন।
48. তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “যে কেউ আমার নামে এই শিশুকে গ্রহণ করে সে আমাকেই গ্রহণ করে। যে আমাকে গ্রহণ করে, আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন সে তাঁকেই গ্রহণ করে। তোমাদের সকলের মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট, সে-ই বড়।”