26. তা না হলে কি দেখতে গিয়েছিলেন? কোন নবীকে কি? জ্বী, আমি আপনাদের বলছি, তিনি নবীর চেয়েও বড়।
27. ইয়াহিয়াই সেই লোক যাঁর বিষয়ে পাক-কিতাবে লেখা আছে,‘দেখ, আমি তোমার আগে আমার সংবাদদাতাকে পাঠাচ্ছি।সে তোমার আগে গিয়ে তোমার পথ প্রস্তুত করবে।’
28. আমি আপনাদের বলছি, মানুষের মধ্যে কেউই ইয়াহিয়ার চেয়ে বড় নয়; তবুও আল্লাহ্র রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট সেও ইয়াহিয়ার চেয়ে মহান।”
29. (সমস্ত সাধারণ লোকেরা ও খাজনা-আদায়কারীরা ইয়াহিয়ার তবলিগ শুনেছিল এবং তাঁর কাছে তরিকাবন্দী গ্রহণ করে আল্লাহ্কে ন্যায়বান বলে স্বীকার করে নিয়েছিল।
30. কিন্তু ফরীশীরা ও আলেমেরা ইয়াহিয়ার কাছে তরিকাবন্দী গ্রহণ করেন নি বলে নিজেদের জন্য আল্লাহ্র উদ্দেশ্যকে তাঁরা অগ্রাহ্য করেছিলেন)।
31. ঈসা আরও বললেন, “তা হলে এই কালের লোকদের আমি কাদের সংগে তুলনা করব? তারা কি রকম?
32. তারা এমন ছেলেমেয়েদের মত যারা বাজারে বসে একে অন্যকে ডেকে বলে, ‘আমরা তোমাদের জন্য বাঁশী বাজালাম কিন্তু তোমরা নাচলে না; আমরা বিলাপের গান গাইলাম কিন্তু তোমরা কাঁদলে না।’
33. তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া এসে রুটি বা আংগুর-রস খেলেন না বলে আপনারা বলছেন, ‘তাকে ভূতে পেয়েছে।’
34. আর ইব্ন্তেআদম এসে খাওয়া-দাওয়া করলেন বলে আপনারা বলছেন, ‘দেখ, এই লোকটা পেটুক ও মদখোর, খাজনা-আদায়কারী ও খারাপ লোকদের বন্ধু।’
35. কিন্তু জ্ঞানের অধীনে যারা চলে তাদের জীবনই প্রমাণ করে যে, জ্ঞান খাঁটি।
36. একজন ফরীশী ঈসাকে তাঁর সংগে খাবার দাওয়াত করলেন। তখন ঈসা তাঁর বাড়ীতে গিয়ে ভোজে যোগ দিলেন।
37. সেই গ্রামে একজন খারাপ স্ত্রীলোক ছিল। সেই ফরীশীর ঘরে ঈসা ভোজে যোগ দিয়েছেন জানতে পেরে সে একটা সাদা পাথরের পাত্রে করে আতর নিয়ে আসল।