13. ঈসা হাত বাড়িয়ে তাকে ছুঁয়ে বললেন, “আমি তা-ই চাই, তুমি পাক-সাফ হও।” আর তখনই সে ভাল হয়ে গেল।
14. ঈসা তাকে এই হুকুম দিলেন, “এই কথা কাউকে বোলো না বরং ইমামের কাছে গিয়ে নিজেকে দেখাও। তার পর পাক-সাফ হওয়া সম্বন্ধে মূসা যা কোরবানী দেবার হুকুম দিয়েছেন তা কোরবানী দাও। তাতে লোকদের কাছে প্রমাণ হবে তুমি ভাল হয়েছ।”
15. তবুও ঈসার খবর আরও ছড়িয়ে পড়ল। তাঁর কথা শুনবার জন্য ও রোগ থেকে সুস্থ হবার জন্য অনেক লোক তাঁর কাছে আসতে লাগল।
16. ঈসা প্রায়ই নির্জন জায়গায় গিয়ে মুনাজাত করতেন।
17. একদিন ঈসা যখন শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন ফরীশীরা এবং আলেমেরা সেখানে বসে ছিলেন। গালীল প্রদেশের বিভিন্ন গ্রাম এবং এহুদিয়া প্রদেশ ও জেরুজালেম শহর থেকে এঁরা এসেছিলেন। রোগীদের সুস্থ করবার জন্য মাবুদের কুদরত ঈসার মধ্যে ছিল।
18. তখন কয়েকজন লোক একজন অবশ-রোগীকে খাটে করে বয়ে আনল। তারা তাকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে ঈসার সামনে রাখবার চেষ্টা করল,
19. কিন্তু ভিড়ের জন্য ভিতরে যাবার পথ পেল না। তখন তারা ছাদে উঠল এবং ছাদের টালি সরিয়ে বিছানা সুদ্ধ তাকে লোকদের মাঝখানে ঈসার সামনে নামিয়ে দিল।
20. তারা ঈমান এনেছে দেখে ঈসা বললেন, “বন্ধু, তোমার গুনাহ্ মাফ করা হল।”
21. এতে আলেম ও ফরীশীরা মনে মনে ভাবতে লাগলেন, “এই লোকটা কে, যে কুফরী করছে? আল্লাহ্ ছাড়া আর কে গুনাহ্ মাফ করতে পারে?”
22. তাঁরা মনে মনে কি চিন্তা করছিলেন ঈসা তা বুঝতে পেরে বললেন, “আপনারা মনে মনে কেন ঐ কথা ভাবছেন?
23. কোন্টা বলা সহজ, ‘তোমার গুনাহ্ মাফ করা হল,’ না ‘তুমি উঠে হেঁটে বেড়াও’?
24. কিন্তু আপনারা যেন জানতে পারেন দুনিয়াতে গুনাহ্ মাফ করবার ক্ষমতা ইব্ন্তেআদমের আছে”- এই পর্যন্ত বলে তিনি সেই অবশ-রোগীকে বললেন, “আমি তোমাকে বলছি, ওঠো, তোমার বিছানা তুলে নিয়ে বাড়ী চলে যাও।”
25. সেই লোকটি তখনই সকলের সামনে উঠে দাঁড়াল এবং যে বিছানার উপরে সে শুয়ে ছিল তা তুলে নিয়ে আল্লাহ্র প্রশংসা করতে করতে বাড়ী চলে গেল।
26. তাতে সবাই খুব আশ্চর্য হল এবং ভয়ে আল্লাহ্র প্রশংসা করে বলল, “আজ আমরা কি আশ্চর্য ব্যাপার দেখলাম!”