4. তরিকাবন্দী দেবার অধিকার ইয়াহিয়া আল্লাহ্র কাছ থেকে পেয়েছিলেন, না মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন?”
5. তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করতে লাগলেন, “যদি আমরা বলি, ‘আল্লাহ্র কাছ থেকে,’ তবে সে বলবে, ‘তা হলে তাঁকে বিশ্বাস করেন নি কেন?’
6. কিন্তু যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তাহলে লোকেরা আমাদের পাথর মারবে, কারণ তারা ইয়াহিয়াকে নবী বলে বিশ্বাস করে।”
7. এইজন্য তাঁরা বললেন, “সেই অধিকার কোথা থেকে এসেছিল তা আমরা জানি না।”
8. ঈসা তাঁদের বললেন, “তবে আমিও বলব না কোন্ অধিকারে আমি এই সব করছি।”
9. এর পরে ঈসা লোকদের শিক্ষা দেবার জন্য এই কথা বললেন: “একজন লোক একটা আংগুর-ক্ষেত করলেন এবং চাষীদের কাছে সেটা ইজারা দিয়ে অনেক দিনের জন্য বিদেশে চলে গেলেন।
30-31. পরে দ্বিতীয় ও তার পরে তৃতীয় ভাই সেই বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল এবং সেই একইভাবে সাতজনই ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল।
32. শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল।
33. তাহলে যেদিন মৃতেরা জীবিত হয়ে উঠবে সেই দিন সে কার স্ত্রী হবে? সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
34. ঈসা তাঁদের বললেন, “এই কালের লোকেরা বিয়ে করে এবং তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
35. কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে আগামী যুগে পার হয়ে যাবার যোগ্য বলে যাদের ধরা হবে, তারা বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না।
36. তারা আর মরতে পারে না, কারণ তারা ফেরেশতাদের মত। তারা আল্লাহ্র সন্তান কারণ মৃত্যু থেকে তাদের জীবিত করা হয়েছে।
37. জ্বলন্ত ঝোপের বিষয়ে যেখানে লেখা আছে সেখানে মূসা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, মৃতেরা সত্যিই জীবিত হয়ে ওঠে। সেখানে মূসা মাবুদকে ‘ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইসহাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্’ বলে ডেকেছেন।
38. কিন্তু আল্লাহ্ তো মৃতদের আল্লাহ্ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্। তাঁরই উদ্দেশ্যে সব লোক বেঁচে থাকে।”
39. তখন কয়েকজন আলেম বললেন, “হুজুর, আপনি ভালই বলেছেন।”
40. তাঁরা আর কোন কিছু ঈসাকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস পেলেন না।
41. ঈসা সেই আলেমদের বললেন, “লোকে কি করে বলে যে, মসীহ্ দাউদের বংশধর?
42-43. জবুর শরীফ কিতাবে দাউদ তো নিজেই এই কথা বলেছেন,‘মাবুদ আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরতোমার পায়ের তলায় রাখি,ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বস।’
44. দাউদ তো মসীহ্কে প্রভু বলে ডেকেছিলেন; তাহলে মসীহ্ কেমন করে দাউদের বংশধর হতে পারেন?”