3. সেই শহরে একজন বিধবা ছিল। সে বারবার এসে তাঁকে বলত, ‘ন্যায়বিচার করে আমার বিপক্ষের বিরুদ্ধে রায় দিন।’
4. সেই বিচারক কিছু দিন পর্যন্ত কিছুই করলেন না। কিন্তু শেষে তিনি মনে মনে বললেন, ‘যদিও আমি আল্লাহ্কে ভয় করি না এবং মানুষকেও গ্রাহ্য করি না,
5. তবুও এই বিধবা আমাকে বিরক্ত করছে বলে আমি তার পক্ষে ন্যায়বিচার করব। তা না হলে সে বারবার আসবে আর তাতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ব।’ ”
6. এর পর ঈসা আরও বললেন, “ন্যায় বিচারক না হলেও তিনি কি বললেন তা ভেবে দেখ।
7. তাহলে যারা আল্লাহ্কে দিন রাত ডাকে, আল্লাহ্ কি তাঁর সেই বাছাই-করা বান্দাদের পক্ষে ন্যায়বিচার করবেন না? তিনি কি তা করতে দেরি করবেন?
8. আমি তোমাদের বলছি, তিনি তাদের পক্ষে ন্যায়বিচার করতে দেরি করবেন না। কিন্তু ইব্ন্তেআদম যখন আসবেন তখন কি তিনি দুনিয়াতে ঈমান দেখতে পাবেন?”
9. যারা নিজেদের ধার্মিক মনে করে অন্যদের তুচ্ছ করত তাদের শিক্ষা দেবার জন্য ঈসা এই কথা বললেন:
10. “দু’জন লোক মুনাজাত করবার জন্য বায়তুল-মোকাদ্দসে গেলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ফরীশী ও অন্যজন খাজনা-আদায়কারী।
11. সেই ফরীশী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের বিষয়ে এই মুনাজাত করলেন, ‘হে আল্লাহ্, আমি তোমাকে শুকরিয়া জানাই যে, আমি অন্য লোকদের মত ঠগ, অসৎ ও জেনাকারী নই, এমন কি, ঐ খাজনা-আদায়কারীর মতও নই।
12. আমি সপ্তায় দু’বার রোজা রাখি এবং আমার সমস্ত আয়ের দশ ভাগের এক ভাগ তোমাকে দিই।’
13. সেই সময় সেই খাজনা-আদায়কারী কিছু দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। আসমানের দিকে তাকাবারও তার সাহস হল না; সে বুক চাপ্ড়ে বলল, ‘হে আল্লাহ্! আমি গুনাহ্গার; আমার প্রতি মমতা কর।’
14. “আমি তোমাদের বলছি, সেই খাজনা-আদায়কারীকে আল্লাহ্ ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন আর সে বাড়ী ফিরে গেল। কিন্তু সেই ফরীশীকে তিনি ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন না। যে কেউ নিজেকে উঁচু করে তাকে নীচু করা হবে এবং যে নিজেকে নীচু করে তাকে উঁচু করা হবে।”
15. লোকেরা ছোট ছেলেমেয়েদের ঈসার কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের উপর হাত রাখেন। সাহাবীরা এ দেখে সেই লোকদের বকুনি দিতে লাগলেন।
16. কিন্তু ঈসা সেই ছেলেমেয়েদের নিজের কাছে ডেকে নিলেন। তারপর তিনি সাহাবীদের বললেন, “ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিও না; কারণ আল্লাহ্র রাজ্য এদের মত লোকদেরই।