24. সেই নেতার দিকে তাকিয়ে ঈসা বললেন, “ধনীদের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢোকা কত কঠিন!
25. ধনীর পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢুকবার চেয়ে বরং সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”
26. ঈসার এই কথা যারা শুনল তারা বলল, “তাহলে কে নাজাত পেতে পারে?”
27. ঈসা বললেন, “মানুষের পক্ষে যা অসম্ভব আল্লাহ্র পক্ষে তা সম্ভব।”
28. তখন পিতর বললেন, “আমরা তো সব কিছু ছেড়ে দিয়ে আপনার সাহাবী হয়েছি।”
29. ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যারা আল্লাহ্র রাজ্যের জন্য বাড়ী-ঘর, স্ত্রী, ভাই-বোন, মা-বাবা বা ছেলেমেয়ে ছেড়ে এসেছে,
30. তারা প্রত্যেকে এই যুগেই অনেক বেশী পাবে এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন লাভ করবে।”
31. ঈসা তাঁর বারোজন সাহাবীকে একপাশে ডেকে নিয়ে বললেন, “দেখ, আমরা জেরুজালেমে যাচ্ছি। ইব্ন্তেআদমের বিষয়ে নবীরা যা যা লিখে গেছেন তা সবই পূর্ণ হবে।
32. তাঁকে অ-ইহুদীদের হাতে দেওয়া হবে। লোকে তাঁকে ঠাট্টা ও অপমান করবে এবং তাঁর গায়ে থুথু দেবে।
33. ভীষণভাবে চাবুক মারবার পরে তারা তাঁকে হত্যা করবে, আর তৃতীয় দিনে তিনি জীবিত হয়ে উঠবেন।”
34. সাহাবীরা কিন্তু এই সব বিষয় কিছুৃই বুঝলেন না। সেই কথার অর্থ তাঁদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল বলে ঈসা যে কি বলছিলেন তা তাঁরা বুঝলেন না।