4. যদি দিনের মধ্যে সাতবার তোমার বিরুদ্ধে সে অন্যায় করে এবং সাতবারই এসে বলে, ‘আমি এই অন্যায় থেকে মন ফিরিয়েছি,’ তাহলে তাকে মাফ করতে হবে।”
5. সেই বারোজন সাহাবী হযরত ঈসাকে বললেন, “আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিন।”
6. ঈসা বললেন, “একটা সরিষা-দানার মতও যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে তবে তোমরা এই তুঁত গাছটাকে বলতে পারবে, ‘শিকড়সুদ্ধ উঠে গিয়ে নিজেকে সাগরে পুঁতে রাখ’; তাতে সেই গাছটি তোমাদের কথা শুনবে।
7. “মনে কর, তোমাদের একজনের গোলাম হাল বাইছে বা ভেড়া চরাচ্ছে। যখন সেই গোলাম মাঠ থেকে আসবে তখন কি তার মালিক তাকে বলবেন, ‘তাড়াতাড়ি গিয়ে খেতে বস’?
8. না, তা বলবেন না, বরং বলবেন, ‘আমার খাওয়ার আয়োজন কর, আর আমি যতক্ষণ খাওয়া-দাওয়া করি ততক্ষণ কোমরে কাপড় জড়িয়ে আমার সেবা-যত্ন কর। তারপর তুমি খাওয়া-দাওয়া করবে।’
9. সেই গোলাম তাঁর হুকুম মত কাজ করেছে বলে কি তিনি তাকে শুকরিয়া জানাবেন?
10. সেইভাবে আল্লাহ্র হুকুম মত সমস্ত কাজ করবার পরে তোমরা বোলো, ‘আমরা অপদার্থ গোলাম; যা করা উচিত আমরা কেবল তা-ই করেছি।’ ”
14. সেই রোগীদের দেখে ঈসা বললেন, “ইমামদের কাছে গিয়ে নিজেদের দেখাও।”তারা পথে যেতে যেতেই সুস্থ হয়ে গেল।
17. তখন ঈসা বললেন, “দশজনকে কি সুস্থ করা হয় নি? তবে বাকী ন’জন কোথায়?
18. আল্লাহ্র প্রশংসা করবার জন্য এই বিদেশী লোকটি ছাড়া আর কেউ কি ফিরে আসল না?”
19. তারপর ঈসা লোকটিকে বললেন, “উঠে চলে যাও। বিশ্বাস করেছ বলে তুমি ভাল হয়েছ।”
20. কয়েকজন ফরীশী ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন কবে আল্লাহ্র রাজ্য আসবে। জবাবে ঈসা বললেন, “আল্লাহ্র রাজ্য আসবার সময় কোন চিহ্ন দেখা যায় না।
21. কেউই বলবে না, “দেখ, আল্লাহ্র রাজ্য এখানে,’ বা ‘দেখ, আল্লাহ্র রাজ্য ওখানে,’ কারণ আপনাদের মধ্যেই তো আল্লাহ্র রাজ্য আছে।”