লূক 12:42-54 Kitabul Mukkadas (MBCL)

42. জবাবে হযরত ঈসা বললেন, “সেই বিশ্বস্ত ও জ্ঞানী কর্মচারী কে, যাকে তার মালিক তাঁর গোলামদের ঠিক সময়ে খাবার ভাগ করে দেবার ভার দেবেন?

43. ধন্য সেই গোলাম, যাকে তাঁর মালিক এসে বিশ্বস্তভাবে কাজ করতে দেখবেন।

44. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সেই মালিক তাঁকে তাঁর সমস্ত বিষয়-সম্পত্তির ভার দেবেন।

45. কিন্তু ধর, সেই গোলাম মনে মনে বলল, ‘আমার মালিক আসতে দেরি করছেন।’ সেই সুযোগে সে গোলাম ও বাঁদীদের মারধর করতে শুরু করল এবং খাওয়া-দাওয়া করবার পরে মদানো রস খেয়ে মাতাল হল।

46. তাহলে যেদিন ও যে সময়ের কথা সে চিন্তাও করবে না, সেই দিন ও সেই সময়েই তার মালিক এসে হাজির হবেন। তিনি তাঁকে কেটে দু’টুকরা করে কাফেরদের মধ্যে তার স্থান ঠিক করবেন।

47. “যে গোলাম তার মালিকের ইচ্ছা জেনেও প্রস্তুত থাকে নি কিংবা মালিক যা চান তা করে নি তাকে ভীষণভাবে মার খেতে হবে।

48. কিন্তু না জেনে যে শাস্তি পাবার কাজ করেছে তার অল্পই শাস্তি হবে। যাকে বেশী দেওয়া হয় তার কাছে থেকে বেশী দাবি করা হবে; আর লোকে যার কাছে বেশী রেখেছে তার কাছে তারা বেশীই চাইবে।

49. “আমি দুনিয়াতে আগুন জ্বালাতে এসেছি; যদি তা আগেই জ্বলে উঠত তবে কত না ভাল হত!

50. আমাকে একটা তরিকাবন্দী নিতে হবে, আর যতদিন পর্যন্ত তা না হয় ততদিন পর্যন্ত আমার দুঃখের শেষ নেই।

51. তোমাদের কি মনে হয় যে, আমি দুনিয়াতে শান্তি দিতে এসেছি? না, তা নয়। আমি শান্তি দিতে আসি নি বরং মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে এসেছি।

52. এখন থেকে এক বাড়ীর পাঁচজন ভাগ হয়ে যাবে, তিনজন দু’জনের বিরুদ্ধে আর দু’জন তিনজনের বিরুদ্ধে।

53. তারা এইভাবে ভাগ হয়ে যাবে- বাবা ছেলের বিরুদ্ধে ও ছেলে বাবার বিরুদ্ধে, মা মেয়ের বিরুদ্ধে ও মেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে, শাশুড়ী বউয়ের বিরুদ্ধে ও বউ শাশুড়ীর বিরুদ্ধে।”

54. তারপর ঈসা লোকদের বললেন, “আপনারা পশ্চিম দিকে মেঘ করতে দেখলেই বলেন, ‘ঝড় আসছে,’ আর তা-ই হয়।

লূক 12