62. তারা ইশারা করে ছেলেটির পিতার কাছ থেকে জানতে চাইল তিনি কি নাম দিতে চান।
63. জাকারিয়া লিখবার জিনিস চেয়ে নিয়ে লিখলেন, “ওর নাম ইয়াহিয়া।”এতে তারা সবাই অবাক হল,
64. আর তখনই জাকারিয়ার মুখ ও জিভ্ খুলে গেল এবং তিনি কথা বলতে ও আল্লাহ্র প্রশংসা করতে লাগলেন।
65. এ দেখে প্রতিবেশীরা সবাই ভয় পেল, আর এহুদিয়ার সমস্ত পাহাড়ী এলাকার লোকেরা এই সব বিষয়ে বলাবলি করতে লাগল।
66. যারা এই সব কথা শুনল তারা প্রত্যেকেই মনে মনে তা ভাবতে লাগল আর বলল, “বড় হয়ে এই ছেলেটি তবে কি হবে!” তারা এই কথা বলল, কারণ মাবুদের শক্তি এই ছেলেটির উপর দেখা গিয়েছিল।
67. পরে ছেলেটির পিতা জাকারিয়া পাক-রূহে পূর্ণ হয়ে নবী হিসাবে এই কথা বলতে লাগলেন,
68. “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা হোক,কারণ তিনি তাঁর নিজের বান্দাদের দিকেমনোযোগ দিয়েছেন আর তাদের মুক্ত করেছেন।
69. তিনি আমাদের জন্যতাঁর গোলাম দাউদের বংশ থেকেএকজন শক্তিশালী নাজাতদাতা তুলেছেন।
70. এই কথা তাঁর পবিত্র নবীদের মুখ দিয়েতিনি অনেক দিন আগেই বলেছিলেন।
71. তিনি শত্রুদের হাত থেকেআর যারা ঘৃণা করে তাদের সকলের হাত থেকেআমাদের রক্ষা করেছেন।
72. তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের মমতা করবার জন্যআর তাঁর পবিত্র ব্যবস্থা, অর্থাৎ তাঁর কসমপূর্ণ করবার জন্য আমাদের রক্ষা করেছেন।
73-75. সেই কসম তিনি আমাদের পূর্বপুরুষইব্রাহিমের কাছে খেয়েছিলেন।তিনি শত্রুদের হাত থেকেআমাদের উদ্ধার করেছেনযেন যতদিন বেঁচে থাকিপবিত্র ও সৎভাবে তাঁর সামনে দাঁড়িয়েনির্ভয়ে তাঁর এবাদত করতে পারি।
76. সন্তান আমার,তোমাকে আল্লাহ্তা’লার নবী বলা হবে,কারণ তুমি তাঁর পথ ঠিক করবার জন্যতাঁর আগে আগে চলবে।
77-78. তুমি তাঁর বান্দাদের জানাবে,কিভাবে আমাদের আল্লাহ্র মমতার দরুনগুনাহের মাফ পেয়েনাজাত পাওয়া যায়।তাঁর মমতায় বেহেশত থেকে এক উঠন্ত সূর্যআমাদের উপর নেমে আসবেন,