59. ইহুদীদের নিয়ম মত আট দিনের দিন তারা ছেলেটির খৎনা করাবার কাজে যোগ দিতে আসল। তারা ছেলেটির নাম তার পিতার নামের মত জাকারিয়া রাখতে চাইল,
60. কিন্তু তার মা বললেন, “না, এর নাম ইয়াহিয়া রাখা হবে।”
61. তারা এলিজাবেতকে বলল, “আপনার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে তো কারও ঐ নাম নেই।”
62. তারা ইশারা করে ছেলেটির পিতার কাছ থেকে জানতে চাইল তিনি কি নাম দিতে চান।
63. জাকারিয়া লিখবার জিনিস চেয়ে নিয়ে লিখলেন, “ওর নাম ইয়াহিয়া।”এতে তারা সবাই অবাক হল,
64. আর তখনই জাকারিয়ার মুখ ও জিভ্ খুলে গেল এবং তিনি কথা বলতে ও আল্লাহ্র প্রশংসা করতে লাগলেন।
65. এ দেখে প্রতিবেশীরা সবাই ভয় পেল, আর এহুদিয়ার সমস্ত পাহাড়ী এলাকার লোকেরা এই সব বিষয়ে বলাবলি করতে লাগল।
66. যারা এই সব কথা শুনল তারা প্রত্যেকেই মনে মনে তা ভাবতে লাগল আর বলল, “বড় হয়ে এই ছেলেটি তবে কি হবে!” তারা এই কথা বলল, কারণ মাবুদের শক্তি এই ছেলেটির উপর দেখা গিয়েছিল।
67. পরে ছেলেটির পিতা জাকারিয়া পাক-রূহে পূর্ণ হয়ে নবী হিসাবে এই কথা বলতে লাগলেন,
68. “ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা হোক,কারণ তিনি তাঁর নিজের বান্দাদের দিকেমনোযোগ দিয়েছেন আর তাদের মুক্ত করেছেন।
69. তিনি আমাদের জন্যতাঁর গোলাম দাউদের বংশ থেকেএকজন শক্তিশালী নাজাতদাতা তুলেছেন।
70. এই কথা তাঁর পবিত্র নবীদের মুখ দিয়েতিনি অনেক দিন আগেই বলেছিলেন।
71. তিনি শত্রুদের হাত থেকেআর যারা ঘৃণা করে তাদের সকলের হাত থেকেআমাদের রক্ষা করেছেন।