1-2. মাননীয় থিয়ফিল,আমাদের মধ্যে যে সব ঘটনা ঘটেছে তা যাঁরা প্রথম থেকে নিজের চোখে দেখেছেন ও আল্লাহ্র সুসংবাদ তবলিগ করেছেন, তাঁরা আমাদের কাছে সব কিছু জানিয়েছেন, আর তাঁদের কথামতই অনেকে সেই সব বিষয়গুলো পরপর লিখেছেন।
3. সেই সব বিষয় সম্বন্ধে প্রথম থেকে ভালভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে আপনার জন্য তা একটা একটা করে লেখা আমিও ভাল মনে করলাম।
4. এর ফলে আপনি যা জেনেছেন তা সত্যি কি না জানতে পারবেন।
5. হেরোদ যখন এহুদিয়া প্রদেশের বাদশাহ্ ছিলেন সেই সময়ে ইমাম অবিয়ের দলে জাকারিয়া নামে ইহুদীদের একজন ইমাম ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল এলিজাবেত। তিনিও ছিলেন ইমাম হারুনের একজন বংশধর।
6. তাঁরা দু’জনেই আল্লাহ্র চোখে ধার্মিক ছিলেন। মাবুদের সমস্ত হুকুম ও নিয়ম তাঁরা নিখুঁতভাবে পালন করতেন।
7. তাঁদের কোন ছেলেমেয়ে হয় নি কারণ এলিজাবেত বন্ধ্যা ছিলেন। এছাড়া তাঁদের বয়সও খুব বেশী হয়ে গিয়েছিল।
8. একবার নিজের দলের পালার সময় জাকারিয়া ইমাম হিসাবে আল্লাহ্র এবাদত-কাজ করছিলেন।
9. ইমামের কাজের চলতি নিয়ম অনুসারে গুলিবাঁট দ্বারা তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল, যেন তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের পবিত্র স্থানে গিয়ে ধূপ জ্বালাতে পারেন।
26-27. এলিজাবেতের যখন ছয় মাসের গর্ভ তখন আল্লাহ্ গালীল প্রদেশের নাসরত গ্রামের মরিয়ম নামে একটি অবিবাহিতা সতী মেয়ের কাছে জিবরাইল ফেরেশতাকে পাঠালেন। বাদশাহ্ দাউদের বংশের ইউসুফ নামে একজন লোকের সংগে তাঁর বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়েছিল।
41-42. এলিজাবেত যখন মরিয়মের কথা শুনলেন তখন তাঁর গর্ভের শিশুটি নেচে উঠল। তিনি পাক-রূহে পূর্ণ হয়ে জোরে জোরে বললেন, “সমস্ত স্ত্রীলোকদের মধ্যে তুমি ধন্যা এবং তোমার যে সন্তান হবে সেই সন্তানও ধন্য।
54-55. তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছেযে ওয়াদা করেছিলেন,সেইমতই তিনি তাঁর গোলামইসরাইলকে সাহায্য করেছেন।ইব্রাহিম ও তাঁর বংশের লোকদের উপরেচিরকাল মমতা করবার কথা তিনি মনে রেখেছেন।”
73-75. সেই কসম তিনি আমাদের পূর্বপুরুষইব্রাহিমের কাছে খেয়েছিলেন।তিনি শত্রুদের হাত থেকেআমাদের উদ্ধার করেছেনযেন যতদিন বেঁচে থাকিপবিত্র ও সৎভাবে তাঁর সামনে দাঁড়িয়েনির্ভয়ে তাঁর এবাদত করতে পারি।
77-78. তুমি তাঁর বান্দাদের জানাবে,কিভাবে আমাদের আল্লাহ্র মমতার দরুনগুনাহের মাফ পেয়েনাজাত পাওয়া যায়।তাঁর মমতায় বেহেশত থেকে এক উঠন্ত সূর্যআমাদের উপর নেমে আসবেন,