রোমীয় 7:1-12 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. ভাইয়েরা, তোমরা তো শরীয়ত জান। তোমরা কি জান না যে, যতদিন মানুষ জীবিত থাকে ততদিনই শরীয়তের দাবি তার উপরে থাকে?

2. যতদিন স্বামী বেঁচে থাকে ততদিনই স্ত্রী আইন দ্বারা তার সংগে বাঁধা থাকে। কিন্তু স্বামী মারা যাবার পর সেই আইনের বাঁধন থেকে স্ত্রী মুক্ত হয়।

3. সেইজন্য স্বামী বেঁচে থাকতে সেই স্ত্রী যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে তবে তাকে জেনাকারিণী বলা হয়। কিন্তু যদি তার স্বামী মারা যায় তবে সে সেই আইনের বাঁধন থেকে মুক্ত হয়। আর তখন যদি সে অন্য কাউকে বিয়ে করে তবে সে জেনাকারিণী হয় না।

4. ঠিক সেইভাবে আমার ভাইয়েরা, মসীহের শরীরের মধ্য দিয়ে মূসার শরীয়তের দাবি-দাওয়ার কাছে তোমরাও মরেছ। তার ফলে যাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছে তোমরা সেই ঈসা মসীহেরই হয়েছ, যেন আল্লাহ্‌র জন্য তোমাদের জীবন ফলবান হয়ে ওঠে।

5. আমরা যখন গুনাহ্‌-স্বভাবের অধীন ছিলাম তখন শরীয়ত আমাদের মধ্যে গুনাহের কামনা-বাসনা জাগিয়ে তুলত এবং সেই কামনা-বাসনা আমাদের শরীরের মধ্যে কাজ করত; তাই আমাদের জীবন মৃত্যুর জন্য ফলবান হত।

6. তখন আমাদের যা বেঁধে রাখত তার দাবি-দাওয়ার কাছে আমরা মরেছি। সেইজন্য শরীয়ত থেকে এখন আমরা মুক্ত। তার ফলে আমরা এখন লেখা শরীয়তের সেই পুরানো জীবন পথের গোলাম নই, কিন্তু পাক-রূহের দেওয়া নতুন জীবন পথের গোলাম হয়েছি।

7. তবে কি আমরা বলব যে, শরীয়ত খারাপ? নিশ্চয়ই না; বরং এই কথা ঠিক যে, শরীয়ত না থাকলে গুনাহ্‌ কি তা আমি জানতে পারতাম না। “লোভ কোরো না,” শরীয়ত যদি এই কথা না বলত তবে লোভ কি তা আমি জানতাম না।

8. কিন্তু গুনাহ্‌ সেই হুকুমের সুযোগ নিয়ে আমার মধ্যে সব রকম লোভ জাগিয়েছে, কারণ শরীয়ত না থাকলে গুনাহ্‌ যেন মরার মত পড়ে থাকে।

9. আমার জীবনে শরীয়ত আসবার আগে আমি বেঁচেই ছিলাম, কিন্তু সেই হুকুম আসবার সংগে সংগে গুনাহ্‌ও বেঁচে উঠল, আর আমারও মৃত্যু ঘটল।

10. যে হুকুমের ফলে জীবন পাবার কথা তা আমার জন্য মৃত্যু নিয়ে আসল,

11. কারণ সেই হুকুমের সুযোগ নিয়ে গুনাহ্‌ আমাকে ঠকাল, আর সেই হুকুমের দ্বারাই গুনাহ্‌ আমাকে হত্যা করল।

12. তবে এই কথা ঠিক যে, মূসার শরীয়ত পবিত্র এবং তার হুকুমও পবিত্র, ন্যায্য ও উপকারী।

রোমীয় 7