6. বিশেষ কোন একটা দিন যে পালন করে সে তো প্রভুকে খুশী করবার জন্যই তা করে। যে সব কিছু খায় সে প্রভুকে খুশী করবার জন্যই খায়, কারণ সে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানায়। যে সব কিছু খায় না সে প্রভুকে খুশী করবার জন্যই খায় না, আর সেও আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানায়।
7. আমাদের মধ্যে কেউই নিজের জন্য বেঁচে থাকে না এবং কেউই নিজের জন্য মরে না।
8. আমরা যদি বাঁচি তবে প্রভুর জন্যই বেঁচে থাকি, আর যদি মরি তবে প্রভুর জন্যই মরি। তাহলে আমরা বাঁচি বা মরি আমরা প্রভুরই।
9. মসীহ্ মরেছিলেন এবং আবার জীবিতও হয়েছিলেন যেন তিনি জীবিত ও মৃত এই দু’য়েরই প্রভু হতে পারেন।
10. তাহলে কেন তুমি তোমার ভাইয়ের দোষ ধরছ? আর কেনই বা তোমার ভাইকে তুচ্ছ করছ? বিচারের জন্য আমরা সবাই তো আল্লাহ্র সামনে দাঁড়াব।
11. পাক-কিতাবে লেখা আছে, “মাবুদ বলেন, ‘আমি আমার নাম করে বলছি, আমার সামনে প্রত্যেকেই হাঁটু পাতবে এবং আমাকে আল্লাহ্ বলে স্বীকার করবে।’ ”
12. তাহলে দেখা যায়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজের বিষয়ে আল্লাহ্র কাছে হিসাব দিতে হবে।
13. এইজন্য আমরা যেন আর একে অন্যের দোষ না ধরি, বরং এমন কোন কাজ করব না বলে ঠিক করি, যা দেখে কোন ভাই মনে বাধা পেতে পারে বা গুনাহে পড়তে পারে।
14. হযরত ঈসার সংগে যুক্ত হয়েছি বলে আমি ভাল করেই জানি যে, আসলে কোন খাবারই হারাম নয়, কিন্তু কেউ যদি কোন খাবারকে হারাম মনে করে তবে তা তারই কাছে হারাম।
15. কোন খাবারের জন্য যদি তুমি তোমার ভাইয়ের মনে দুঃখ দাও তবে তো তুমি আর মহব্বতের মনোভাব নিয়ে চলছ না। যে ভাইয়ের জন্য মসীহ্ মরেছিলেন, খাবারের জন্য তার সর্বনাশ কোরো না।
16. তোমাদের কাছে যা ভাল, কেউ যেন তার নিন্দা করতে না পারে।
17. আল্লাহ্র রাজ্যে খাওয়া-দাওয়া বড় কথা নয়; বড় কথা হল, পাক-রূহের মধ্য দিয়ে সৎ পথে চলা আর শান্তি ও আনন্দ।
18. যে এইভাবে মসীহের সেবা করে আল্লাহ্ তার উপর সন্তুষ্ট হন এবং লোকেও তাকে ভাল মনে করে।