1. ভাইয়েরা, বনি-ইসরাইলদের জন্য আমার দিলের গভীর ইচ্ছা ও আল্লাহ্র কাছে আমার মুনাজাত এই যে, তারা যেন নাজাত পায়।
2. তাদের সম্বন্ধে আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্র প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ আছে, কিন্তু কি করে আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হওয়া যায় তা তারা জানে না।
3. আল্লাহ্ মানুষকে কেমন করে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন সেই কথায় মনোযোগ না দিয়ে নিজেদের চেষ্টায় তারা তাঁর গ্রহণযোগ্য হতে চাইছিল। সেইজন্যই আল্লাহ্ যে উপায়ে মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন তা তারা মেনে নেয় নি।
4. মসীহ্ই শরীয়ত পূর্ণ করে তার শক্তি বাতিল করেছেন, যেন তাঁর উপর যারা ঈমান আনে তারা আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হয়।
5. শরীয়ত পালন করে আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্বন্ধে মূসা লিখেছেন, “যে লোক শরীয়ত মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”
6. কিন্তু ঈমানের দ্বারা কিভাবে মানুষ আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হয় সেই বিষয়ে পাক-কিতাবে বলা হয়েছে, “মনে মনে এই কথা বোলো না, ‘কে বেহেশতে যাবে?’ ” এর অর্থ হল, বেহেশত থেকে মসীহ্কে নামিয়ে আনবার জন্য কে বেহেশতে যাবে?
7. “কিংবা বোলো না, ‘কে নীচে মৃতদের জায়গায় যাবে?’ ” অর্থাৎ মৃত্যু থেকে মসীহ্কে উঠিয়ে আনবার জন্য কে মৃতদের জায়গায় যাবে?
8. আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হবার বিষয়ে কিতাব আরও বলে, “আল্লাহ্ যা বলেছেন তা তোমার সংগেই রয়েছে, অর্থাৎ তোমার মুখে ও তোমার দিলে রয়েছে।” যে ঈমানের কথা আমরা তবলিগ করছি তা হল আল্লাহ্র সেই কথা।
9. সেই কথা হল, যদি তুমি ঈসাকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ্ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন তবেই তুমি নাজাত পাবে;
10. কারণ দিলে ঈমান আনবার ফলে আল্লাহ্ মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন আর মুখে স্বীকার করবার ফলে নাজাত দেন।
11. পাক-কিতাব বলে, “যে কেউ তাঁর উপর ঈমান আনে সে নিরাশ হবে না।”