13. তবে তারা বড় হওয়া পর্যন্ত কি তোমরা অপেক্ষা করবে? তাদের জন্য কি তোমরা বিয়ে না করে থাকবে? না, মা, না। তোমাদের চেয়ে আমার জীবন আরও অনেক তেতো, কারণ মাবুদ আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।”
14. এই কথা শুনে তারা আবার জোরে জোরে কাঁদতে লাগল। তারপর অর্পা তার শাশুড়ীকে চুম্বন করে বিদায় নিল কিন্তু রূত তাকে ছেড়ে গেল না।
15. তখন নয়মী বলল, “দেখ, তোমার জা তার নিজের লোকদের ও তার দেবতার কাছে ফিরে যাচ্ছে। তুমিও তার সাথে যাও।”
16. কিন্তু রূত বলল, “আপনাকে ছেড়ে চলে যাবার জন্য আপনি আমাকে জোর করবেন না, কিংবা আপনার সংগে যেতে আমাকে নিষেধ করবেন না। আপনি যেখানে যাবেন আমিও সেখানে যাব আর আপনি যেখানে থাকবেন আমিও সেখানে থাকব। আপনার লোকেরাই হবে আমার লোক আর আপনার আল্লাহ্ হবেন আমার আল্লাহ্।
17. আপনি যেখানে মরবেন আমিও সেখানে মরব আর সেখানেই যেন আমার কবর হয়। এক মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু যদি আমাদের আলাদা করে তবে মাবুদ যেন আমাকে শাস্তি দেন এবং তা ভীষণভাবেই দেন।”
18. নয়মী যখন বুঝতে পারল যে, রূত তার সংগে যাবার জন্য মন স্থির করে ফেলেছে তখন সে তাকে আর কিছু বলল না।
19. এর পর সেই দু’জন চলতে লাগল এবং শেষে বেথেলহেমে গিয়ে উপস্থিত হল। তারা বেথেলহেমে উপস্থিত হলে পর সমস্ত গ্রামে একটা সাড়া পড়ে গেল। গ্রামের স্ত্রীলোকেরা বলল, “এ-ই কি সেই নয়মী?”
20. নয়মী বলল, “আমাকে নয়মী (যার মানে ‘হাস্তিখুশী’) বলে আর ডেকো না, বরং মারা (যার মানে ‘তেতো’) বলে ডাক, কারণ সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ আমার জীবনকে তেতো করে দিয়েছেন।
21. আমি ভরা হাতে গিয়েছিলাম কিন্তু মাবুদ আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে এনেছেন। মাবুদ যখন আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ যখন আমাকে কষ্টে ফেলেছেন তখন তোমরা আমাকে কেন আর নয়মী বলে ডাকছ?”
22. এইভাবে নয়মী তার ছেলের স্ত্রী মোয়াবীয় রূতকে সংগে নিয়ে মোয়াব দেশ থেকে ফিরে আসল। যব কাটবার সময় শুরু হতেই তারা বেথেলহেমে এসে পৌঁছেছিল।