5. রথের শব্দের মত, নাড়া পোড়ানো আগুনের শব্দের মত তারা পাহাড়ের উপর দিয়ে লাফিয়ে আসে। তারা যুদ্ধের জন্য সারি বাঁধা একদল শক্তিশালী সৈন্যের মত।
6. তাদের দেখে জাতিদের মনে দারুণ যন্ত্রণা হচ্ছে; সকলের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
7. সেই সৈন্যেরা বীর যোদ্ধাদের মত দৌড়ায়, সৈন্যদের মত দেয়ালে ওঠে। তারা সবাই সারি বেঁধে এগিয়ে যায়, তাদের পথ থেকে তারা সরে যায় না।
8. তারা একে অন্যের উপর চাপাচাপি করে না; প্রত্যেকে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। যে কোন বাধাই আসুক না কেন তারা সারি না ভেংগে এগিয়ে যেতে থাকে।
9. তারা শহরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দেয়ালের উপরে দৌড়ায়; তারা বাড়ী-ঘরে ওঠে, তারা চোরের মত জানালা দিয়ে ঢোকে।
10. তাদের সামনে দুনিয়া কাঁপে, আসমান কাঁপতে থাকে, চাঁদ ও সূর্য অন্ধকার হয়ে যায় এবং তারাগুলো আলো দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
11. মাবুদ তাঁর সৈন্যদলের আগে আগে থেকে জোরে তাঁর গলার আওয়াজ শোনান; তাঁর সৈন্যদলের সংখ্যা গোণা যায় না এবং যারা তাঁর হুকুম পালন করে তারা শক্তিশালী। মাবুদের দিন মহৎ ও ভয়ংকর; কে তা সহ্য করতে পারে?
12. মাবুদ ঘোষণা করছেন, “কিন্তু এখন তোমরা রোজা, কান্নাকাটি ও দুঃখ প্রকাশ করে সমস্ত দিলের সংগে আমার কাছে ফিরে এস।”
13. তোমাদের পোশাক না ছিঁড়ে অন্তর ছিঁড়ে ফেল। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কাছে ফিরে এস, কারণ তিনি দয়াময় ও মমতায় পূর্ণ; তিনি সহজে রেগে উঠেন না, তাঁর অটল মহব্বতের সীমা নেই এবং তিনি মন পরিবর্তন করে আর শাস্তি দেন না।
14. কে জানে, হয়তো তিনি আবার মন পরিবর্তন করবেন এবং দোয়া রেখে যাবেন, যাতে তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে শস্য ও ঢালন-কোরবানী করতে পার।
15. তোমরা সিয়োনে শিংগা বাজাও, পবিত্র রোজার ব্যবস্থা কর, একটা বিশেষ মাহ্ফিল ডাক;
16. লোকদের জমায়েত করে তাদের পাক-পবিত্র কর; বৃদ্ধ নেতাদের এক জায়গায় ডাক, যারা বুকের দুধ খায় তাদের এবং ছেলেমেয়েদের জমায়েত কর। বর ও কনে তাদের বাসর ঘর ছেড়ে আসুক।
17. যারা মাবুদের সামনে এবাদত-কাজ করে সেই ইমামেরা বায়তুল-মোকাদ্দসের বারান্দা ও কোরবানগাহের মাঝখানে কাঁদুক। তারা বলুক, “হে মাবুদ, তোমার বান্দাদের উপর তুমি দয়া কর। তোমার সম্পত্তিকে টিট্কারির পাত্র কোরো না, জাতিদের মধ্যে তাদের নামকে টিট্কারির কথা হতে দিয়ো না। অন্যান্য জাতির লোকেরা কেন বলবে, ‘তাদের আল্লাহ্ কোথায়?’ ”