4. কে বেহেশতে উঠেছেন এবং নেমে এসেছেন?হাতের মুঠোয় কে বাতাস ধরেছেন?কে নিজের কাপড়ের মধ্যে সমস্ত পানি জমা করে রেখেছেন?দুনিয়ার সব দিকের শেষ সীমা কে স্থাপন করেছেন?তাঁর নাম ও তাঁর পুত্রের নাম কি?যদি তুমি জান তবে তা আমাকে বল।
5. আল্লাহ্র সমস্ত কালাম খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছে;যারা তাঁর মধ্যে আশ্রয় নেয় তিনি তাদের ঢাল হন।
6. তাঁর কালামের সংগে অন্য কোন কথা যোগ কোরো না;যোগ করলে তিনি তোমার দোষ দেখিয়ে দেবেন,আর তুমি মিথ্যাবাদী বলে প্রমাণিত হবে।
7. হে মাবুদ, দু’টি জিনিস আমি তোমার কাছ থেকে চাই;আমি বেঁচে থাকতে থাকতেতুমি তা আমাকে দিতে অস্বীকার কোরো না-
8. ছলনা এবং মিথ্যা কথা আমার কাছ থেকে দূরে রাখ,আমাকে গরীব বা ধনী কোরো না।যে খাবার আমার দরকার কেবল তা-ই আমাকে দিয়ো,
9. তা না হলে হয়তো আমার অতিরিক্ত থাকবেআর আমি তোমাকে অস্বীকার করে বলব, “মাবুদ কে?”কিংবা আমি গরীব হয়ে চুরি করবআর আমার আল্লাহ্র নামের অসম্মান করব।
10. মালিকের কাছে গোলামের দুর্নাম কোরো না,তা করলে সেই গোলাম তোমাকে বদদোয়া দেবেআর তুমি দোষী হবে।
11. এমন অনেক লোক আছে যারা এই রকম-তারা বাবাকে বদদোয়া দেয় আর মায়ের ভাল চায় না,
12. তারা নিজেদের চোখে খাঁটি অথচ নোংরামি থেকে পাক-সাফ হয় নি,
13. তাদের চোখ অহংকারে ভরা,তাদের দৃষ্টি ঘৃণায় পূর্ণ,
14. তাদের দাঁত যেন তলোয়ার আর চোয়াল যেন ছুরি,যাতে তারা দুনিয়া থেকে দুঃখী লোকদেরআর মানুষের মধ্য থেকে অভাবীদের গ্রাস করতে পারে।
15. জোঁকের দু’টি মেয়ে আছে,তারা “দাও, দাও” বলে চিৎকার করে।তিনটা জিনিস আছে যা কখনও তৃপ্ত হয় না,আসলে চারটা জিনিস কখনও বলে না, “যথেষ্ট হয়েছে”-
16. কবর,বন্ধ্যা স্ত্রীলোক,জমি, যা কখনও পানিতে তৃপ্ত হয় না,আর আগুন, যা কখনও বলে না, “যথেষ্ট হয়েছে।”
17. যে চোখ বাবাকে ঠাট্টা করেআর মায়ের কথার বাধ্য হতে ঘৃণার সংগে অস্বীকার করে,সেই চোখ উপত্যকার কাকেরা ঠুক্রে বের করে নেবে,আর শকুনের বাচ্চারা তা খেয়ে ফেলবে।
18. তিনটা জিনিস আমার কাছে খুব আশ্চর্য লাগে,আসলে চারটা জিনিস আমি বুঝতেই পারি না-
19. কেমন করে ঈগল পাখি আকাশে ওড়ে,কেমন করে সাপ পাথরের উপরে চলে,কেমন করে জাহাজ মহাসমুদ্রে চলে,কেমন করে পুরুষ ও যুবতী মেয়ের মিলনের ফলেজীবনের শুরু হয়।
20. জেনাকারিণী স্ত্রীলোকের ব্যবহার আমি বুঝতে পারি না;সে জেনা করবার পরে গোসল করে বলে,“আমি তো কোন অন্যায় করি নি।”
21. দুনিয়া তিনটার ভারে কাঁপে,আসলে চারটার ভার সে সহ্য করতে পারে না-