মার্ক 2:6-20 Kitabul Mukkadas (MBCL)

6. সেখানে কয়েকজন আলেম বসে ছিলেন। তাঁরা মনে মনে ভাবছিলেন,

7. “লোকটা এই রকম কথা বলছে কেন? সে তো কুফরী করছে। একমাত্র আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কে গুনাহ্‌ মাফ করতে পারে?”

8. তাঁরা যে ঐ সব কথা ভাবছেন তা ঈসা নিজের অন্তরে তখনই বুঝতে পারলেন। এইজন্য তিনি তাঁদের বললেন, “আপনারা কেন মনে মনে ঐ সব কথা ভাবছেন?

9. এই অবশ-রোগীকে কোন্‌টা বলা সহজ- ‘তোমার গুনাহ্‌ মাফ করা হল,’ না, ‘ওঠো, তোমার মাদুর তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও’?

10. কিন্তু আপনারা যেন জানতে পারেন দুনিয়াতে গুনাহ্‌ মাফ করবার ক্ষমতা ইব্‌ন্তেআদমের আছে”- এই পর্যন্ত বলে তিনি সেই অবশ-রোগীকে বললেন,

11. “আমি তোমাকে বলছি, ওঠো, তোমার মাদুর তুলে নিয়ে বাড়ী চলে যাও।”

12. তখনই সেই লোকটি উঠে তার মাদুর তুলে নিল এবং সকলের সামনেই বাইরে চলে গেল। এতে সবাই আশ্চর্য হয়ে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করে বলল, “আমরা কখনও এই রকম দেখি নি।”

13. পরে ঈসা আবার গালীল সাগরের ধারে গেলেন। তখন অনেক লোক তাঁর কাছে আসল, আর তিনি তাদের শিক্ষা দিতে লাগলেন।

14. এর পরে তিনি পথে যেতে যেতে দেখলেন আল্‌ফেয়ের ছেলে লেবি খাজনা আদায় করবার ঘরে বসে আছেন। ঈসা তাঁকে বললেন, “এস, আমার উম্মত হও।” তখন লেবি উঠে ঈসার সংগে গেলেন।

15. পরে ঈসা লেবির বাড়ীতে খেতে বসলেন। তখন অনেক খাজনা-আদায়কারী ও খারাপ লোকেরাও ঈসা ও তাঁর সাহাবীদের সংগে খেতে বসল, কারণ অনেক লোক ঈসার সংগে সংগে যাচ্ছিল।

16. ফরীশী দলের আলেমেরা যখন দেখলেন ঈসা খাজনা-আদায়কারী ও খারাপ লোকদের সংগে খাচ্ছেন তখন তাঁরা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “উনি খাজনা-আদায়কারী ও খারাপ লোকদের সংগে খাওয়া-দাওয়া করেন কেন?”

17. এই কথা শুনে ঈসা সেই আলেমদের বললেন, “সুস্থদের জন্য ডাক্তারের দরকার নেই বরং অসুস্থদের জন্যই দরকার আছে। আমি ধার্মিকদের ডাকতে আসি নি বরং গুনাহ্‌গারদেরই ডাকতে এসেছি।”

18. একবার ইয়াহিয়ার সাহাবীরা ও ফরীশীরা রোজা রাখছিলেন। তা দেখে কয়েকজন লোক ঈসার কাছে এসে বলল, “ইয়াহিয়ার সাহাবীরা ও ফরীশীদের শাগরেদেরা রোজা রাখেন, কিন্তু আপনার সাহাবীরা রাখেন না কেন?”

19. ঈসা তাদের বললেন, “বর সংগে থাকতে কি বরের সংগের লোকেরা রোজা রাখতে পারে? যতদিন বর সংগে থাকে ততদিন তারা রোজা রাখতে পারে না।

20. কিন্তু সময় আসছে যখন তাদের কাছ থেকে বরকে নিয়ে যাওয়া হবে, আর সেই সময় তারা রোজা রাখবে।

মার্ক 2