7. যখন তোমরা যুদ্ধের আওয়াজ ও যুদ্ধের খবরাখবর শুনবে তখন ভয় পেয়ো না। এই সব হবেই, কিন্তু তখনও শেষ নয়।
8. এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে, এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অনেক জায়গায় ভূমিকমপ ও দুর্ভিক্ষ হবে। কিন্তু এই সব কেবল যন্ত্রণার শুরু।
9. “তোমরা সতর্ক থেকো। লোকে তোমাদের বিচার-সভার লোকদের হাতে ধরিয়ে দেবে এবং মজলিস-খানায় বেত মারবে। আমার জন্য দেশের শাসনকর্তা ও বাদশাহ্দের সামনে তোমাদের দাঁড়াতে হবে। তাঁদের সামনে আমার বিষয়ে তোমাদের সাক্ষ্য দিতে হবে।
10. সমস্ত জাতির কাছে প্রথমে আল্লাহ্র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ করতে হবে।
11. যখন তোমাদের ধরে বিচারের জন্য নিয়ে যাবে তখন কি বলতে হবে তা আগে থেকে চিন্তা কোরো না। সেই সময়ে যে কথা তোমাদের বলে দেওয়া হবে তোমরা তা-ই বলবে, কারণ তোমরাই যে বলবে তা নয় বরং পাক-রূহ্ই কথা বলবেন।
12. “ভাই ভাইকে, পিতা ছেলেকে মেরে ফেলবার জন্য ধরিয়ে দেবে। ছেলেমেয়েরা মা-বাবার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাদের খুন করাবে।
13. আমার জন্য সবাই তোমাদের ঘৃণা করবে, কিন্তু যে শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে সে উদ্ধার পাবে।
14. “সর্বনাশা ঘৃণার জিনিস যেখানে থাকা উচিত নয়, তোমরা যখন তা সেখানে থাকতে দেখবে- যে পড়ে সে বুঝুক- তখন যারা এহুদিয়াতে থাকবে তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক।
15. যে ছাদের উপরে থাকবে সে কিছু নেবার জন্য নীচে নেমে ঘরে না ঢুকুক।
16. যে ক্ষেতের মধ্যে থাকবে সে গায়ের চাদর নেওয়ার জন্য না ফিরুক।
17. তখন যারা গর্ভবতী আর যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায় তাদের অবস্থা কি ভীষণই না হবে!
18. মুনাজাত কর যেন এই সমস্ত শীতকালে না হয়,
19. কারণ সেই সময় এমন কষ্ট হবে যা দুনিয়ার সৃষ্টি থেকে এই পর্যন্ত হয় নি এবং তার পরেও আর হবে না।
20. মাবুদ যদি সেই দিনগুলো কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই বাঁচত না। কিন্তু তাঁর বাছাই করা বান্দাদের জন্য সেই দিনগুলো আল্লাহ্ কমিয়ে দিয়েছেন।
21. সেই সময় যদি কেউ তোমাদের বলে, ‘দেখ, মসীহ্ এখানে,’ বা ‘দেখ, মসীহ্ ওখানে,’ তোমরা বিশ্বাস কোরো না;
22. কারণ ভণ্ড মসীহেরা ও ভণ্ড নবীরা আসবে এবং চিহ্ন ও কুদরতি দেখাবে, যেন আল্লাহ্র বাছাই করা বান্দাদের সম্ভব হলে ঠকাতে পারে।
23. তোমরা কিন্তু সতর্ক থেকো। আমি তোমাদের আগেই সব কিছু বলে রাখলাম।