18. কয়েকজন সদ্দূকী ঈসার কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা বলে কিছু নেই। এইজন্য তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন,
19. “হুজুর, মূসা আমাদের জন্য এই কথা লিখে গেছেন, ‘যদি কোন লোকের ভাই সন্তানহীন অবস্থায় স্ত্রী রেখে মারা যায় তবে সেই লোক তার ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করবে এবং ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে।’
20. খুব ভাল, তারা সাত ভাই ছিল। প্রথমজন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল।
21. তখন দ্বিতীয়জন ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল, কিন্তু সেও সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল। তৃতীয়জনের অবস্থাও তা-ই হল।
22. এইভাবে সাতজনের কারও ছেলেমেয়ে হল না। শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল।
23. তাহলে মৃত লোকেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন সে কার স্ত্রী হবে? কারণ সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
24. জবাবে ঈসা বললেন, “আপনারা ভুল করছেন, কারণ আপনারা কিতাবও জানেন না এবং আল্লাহ্র শক্তির বিষয়েও জানেন না।
25. মৃত লোকেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন তারা বিয়েও করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না; তারা তখন ফেরেশতাদের মত হবে।
26. মৃতদের জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে নবী মূসার কিতাবে লেখা জ্বলন্ত ঝোপের কথা কি আপনারা পড়েন নি যে, আল্লাহ্ তাঁকে বললেন, ‘আমি ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইসহাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্’?
27. আল্লাহ্ তো মৃতদের আল্লাহ্ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্। আপনারা খুব ভুল করছেন।”
28. একজন আলেম সেখানে এসে তাঁদের তর্কাতর্কি শুনলেন। ঈসা যে তাঁদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তা লক্ষ্য করে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তৌরাত শরীফের মধ্যে সবচেয়ে দরকারী হুকুম কোন্টা?”
29. জবাবে ঈসা বললেন, “সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, ‘বনি-ইসরাইলরা, শোন, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এক।
30. তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত মন এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত করবে।’
31. তার পরের দরকারী হুকুম হল এই, ‘তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।’ এই দু’টা হুকুমের চেয়ে বড় হুকুম আর কিছুই নেই।”
32. তখন সেই আলেম বললেন, “হুজুর, খুব ভাল কথা। আপনি সত্যি কথাই বলেছেন যে, আল্লাহ্ এক এবং তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই।
33. আর সমস্ত দিল, সমস্ত বুদ্ধি ও সমস্ত শক্তি দিয়ে তাঁকে মহব্বত করা এবং প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করা পশু ও অন্য সব কোরবানীর চেয়ে অনেক বেশী দরকারী।”