12. তখন সেই ধর্ম-নেতারা ঈসাকে ধরতে চাইলেন, কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন যে, গল্পটা ঈসা তাঁদের বিরুদ্ধে বলেছেন। কিন্তু তাঁরা লোকদের ভয়ে ঈসাকে ছেড়ে চলে গেলেন।
13. পরে সেই ধর্ম-নেতারা ঈসাকে তাঁর কথার ফাঁদে ধরবার জন্য কয়েকজন ফরীশী ও হেরোদীয়কে পাঠিয়ে দিলেন।
14. তাঁরা ঈসার কাছে এসে বললেন, “হুজুর, আমরা জানি আপনি একজন সৎ লোক। লোকে কি মনে করবে না করবে, তাতে আপনার কিছু যায় আসে না, কারণ আপনি কারও মুখ চেয়ে কিছু করেন না। আপনি সত্যভাবে আল্লাহ্র পথের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এখন আপনি বলুন, মূসার শরীয়ত অনুসারে রোম-সম্রাটকে কি খাজনা দেওয়া উচিত?
15. আমরা তাঁকে খাজনা দেব কি দেব না?”ঈসা তাঁদের ভণ্ডামি বুঝতে পেরে বললেন, “আপনারা কেন আমাকে পরীক্ষা করছেন? আমাকে একটা দীনার এনে দেখান।”
16. তাঁরা একটা দীনার আনলে পর ঈসা তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “এর উপরে এই ছবি ও নাম কার?”তাঁরা বললেন, “রোম-সম্রাটের।”
17. ঈসা তাঁদের বললেন, “যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দিন, আর যা আল্লাহ্র তা আল্লাহ্কে দিন।” ঈসার এই কথায় তাঁরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
18. কয়েকজন সদ্দূকী ঈসার কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠা বলে কিছু নেই। এইজন্য তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন,
19. “হুজুর, মূসা আমাদের জন্য এই কথা লিখে গেছেন, ‘যদি কোন লোকের ভাই সন্তানহীন অবস্থায় স্ত্রী রেখে মারা যায় তবে সেই লোক তার ভাইয়ের স্ত্রীকে বিয়ে করবে এবং ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে।’
20. খুব ভাল, তারা সাত ভাই ছিল। প্রথমজন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল।
21. তখন দ্বিতীয়জন ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল, কিন্তু সেও সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল। তৃতীয়জনের অবস্থাও তা-ই হল।
22. এইভাবে সাতজনের কারও ছেলেমেয়ে হল না। শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল।
23. তাহলে মৃত লোকেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন সে কার স্ত্রী হবে? কারণ সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
24. জবাবে ঈসা বললেন, “আপনারা ভুল করছেন, কারণ আপনারা কিতাবও জানেন না এবং আল্লাহ্র শক্তির বিষয়েও জানেন না।
25. মৃত লোকেরা যখন জীবিত হয়ে উঠবে তখন তারা বিয়েও করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না; তারা তখন ফেরেশতাদের মত হবে।
26. মৃতদের জীবিত হয়ে উঠবার বিষয়ে নবী মূসার কিতাবে লেখা জ্বলন্ত ঝোপের কথা কি আপনারা পড়েন নি যে, আল্লাহ্ তাঁকে বললেন, ‘আমি ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইসহাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্’?
27. আল্লাহ্ তো মৃতদের আল্লাহ্ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্। আপনারা খুব ভুল করছেন।”
28. একজন আলেম সেখানে এসে তাঁদের তর্কাতর্কি শুনলেন। ঈসা যে তাঁদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তা লক্ষ্য করে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তৌরাত শরীফের মধ্যে সবচেয়ে দরকারী হুকুম কোন্টা?”
29. জবাবে ঈসা বললেন, “সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, ‘বনি-ইসরাইলরা, শোন, আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এক।
30. তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত মন এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত করবে।’