9. তোমরা বরং রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাও, আর যত জনের দেখা পাও সবাইকে বিয়ের ভোজে ডেকে আন।’
10. তখন সেই গোলামেরা বাইরে রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে ভাল-মন্দ যাদের পেল সবাইকে ডেকে আনল। তাতে বিয়ে-বাড়ী সেই মেহমানে ভরে গেল।
11. “এর পর বাদশাহ্ মেহমানদের দেখবার জন্য ভিতরে এসে দেখলেন,
12. একজন লোক বিয়ের কাপড় না পরেই সেখানে এসেছে। বাদশাহ্ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বন্ধু, বিয়ের কাপড় ছাড়া কেমন করে এখানে ঢুকলে?’ সে এর কোন জবাব দিতে পারল না।
13. তখন বাদশাহ্ চাকরদের বললেন, ‘এর হাত-পা বেঁধে বাইরের অন্ধকারে ফেলে দাও। সেই জায়গায় লোকে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।’ ”
14. গল্পের শেষে ঈসা বললেন, “এইজন্য বলি, অনেক লোককে ডাকা হয়েছে কিন্তু অল্প লোককে বেছে নেওয়া হয়েছে।”
15. তখন ফরীশীরা চলে গেলেন এবং কেমন করে ঈসাকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলা যায় সেই পরামর্শ করতে লাগলেন।
16. তারা হেরোদের দলের কয়েকজন লোকের সংগে নিজেদের কয়েকজন শাগরেদকে ঈসার কাছে পাঠালেন। তারা তাঁকে বলল, “হুজুর, আমরা জানি আপনি একজন সৎ লোক। আল্লাহ্র পথের বিষয়ে আপনি সত্যভাবে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। লোকে কি মনে করবে না করবে তাতে আপনার কিছু যায় আসে না, কারণ আপনি কারও মুখ চেয়ে কিছু করেন না।
17. তাহলে আপনি বলুন, মূসার শরীয়ত অনুসারে রোম-সম্রাটকে কি খাজনা দেওয়া উচিত? আপনার কি মনে হয়?”
18. তাদের খারাপ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ঈসা বললেন, “ভণ্ডেরা, কেন আমাকে পরীক্ষা করছ?
19. যে টাকায় খাজনা দেবে তার একটা আমাকে দেখাও।” তারা একটা দীনার ঈসার কাছে আনল।
20. তখন ঈসা তাদের বললেন, “এর উপরে এই ছবি ও নাম কার?”
21. তারা বলল, “রোম-সম্রাটের।”ঈসা তাদের বললেন, “তবে যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দাও, আর যা আল্লাহ্র তা আল্লাহ্কে দাও।”
22. এই কথা শুনে তারা আশ্চর্য হল এবং তাঁকে ছেড়ে চলে গেল।