4. তখন তিনি আবার অন্য গোলামদের দিয়ে যে লোকদের দাওয়াত করা হয়েছিল, তাদের বলে পাঠালেন, ‘দেখুন, আমি আমার বলদ ও মোটাসোটা বাছুরগুলো জবাই করে মেজবানী প্রস্তুত করেছি। এখন সবই প্রস্তুত, আপনারা ভোজে আসুন।’
5. “যে লোকেরা দাওয়াত পেয়েছিল, তারা কিন্তু সেই গোলামদের কথা না শুনে একজন তার নিজের ক্ষেতে ও আর একজন তার নিজের কাজে চলে গেল।
6. বাকী সবাই বাদশাহ্র গোলামদের ধরে অপমান করল ও হত্যা করল।
7. তখন বাদশাহ্ খুব রেগে গেলেন এবং সৈন্য পাঠিয়ে তিনি সেই খুনীদের ধ্বংস করলেন আর তাদের শহর পুড়িয়ে দিলেন।
8. পরে তিনি তাঁর গোলামদের বললেন, ‘মেজবানী প্রস্তুত, কিন্তু যাদের দাওয়াত করা হয়েছিল তারা এর যোগ্য নয়।
9. তোমরা বরং রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাও, আর যত জনের দেখা পাও সবাইকে বিয়ের ভোজে ডেকে আন।’
37-38. ঈসা তাঁকে বললেন, “সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে দরকারী হুকুম হল, ‘তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ ও সমস্ত মন দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে মহব্বত করবে।’
39. তার পরের দরকারী হুকুমটা প্রথমটারই মত- ‘তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।’
40. সম্পূর্ণ তৌরাত শরীফ এবং নবীদের সমস্ত কিতাব এই দু’টি হুকুমের উপরেই ভরসা করে আছে।”
41. ফরীশীরা তখনও একসংগে ছিলেন, এমন সময় ঈসা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন,
42. “আপনারা মসীহের বিষয়ে কি মনে করেন? তিনি কার বংশধর?”তাঁরা ঈসাকে বললেন, “দাউদের বংশধর।”
43. তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “তবে দাউদ কেমন করে মসীহ্কে পাক-রূহের পরিচালনায় প্রভু বলে ডেকেছিলেন? তিনি বলেছিলেন,
44. ‘মাবুদ আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরতোমার পায়ের তলায় রাখি,ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বস।’
45. তাহলে দাউদ যখন মসীহ্কে প্রভু বলে ডেকেছেন তখন মসীহ্ কেমন করে দাউদের বংশধর হতে পারেন?”