12. কেউ কেউ খোজা হয়ে জন্মগ্রহণ করে, সেইজন্য তারা বিয়ে করে না। আর কাউকে কাউকে মানুষেই খোজা করে, সেইজন্য তারা বিয়ে করে না। আবার এমন কেউ কেউ আছে যারা বেহেশতী রাজ্যের জন্য বিয়ে করবে না বলে মন স্থির করে। যে এই কথা মেনে নিতে পারে সে মেনে নিক।”
13. পরে লোকেরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ঈসার কাছে নিয়ে আসল যেন তিনি তাদের মাথার উপর হাত রেখে মুনাজাত করেন। কিন্তু সাহাবীরা তাদের বকুনি দিতে লাগলেন।
14. তখন ঈসা বললেন, “ছেলেমেয়েদের আমার কাছে আসতে দাও, বাধা দিয়ো না; কারণ বেহেশতী রাজ্য এদের মত লোকদেরই।”
15. ছেলেমেয়েদের মাথার উপর হাত রেখে মুনাজাত করবার পর ঈসা সেখান থেকে চলে গেলেন।
16. পরে একজন যুবক এসে ঈসাকে বলল, “হুজুর, অনন্ত জীবন পাবার জন্য আমাকে ভাল কি করতে হবে?”
17. ঈসা তাকে বললেন, “ভালোর বিষয়ে কেন আমাকে জিজ্ঞাসা করছ? ভাল মাত্র একজনই আছেন। যদি তুমি অনন্ত জীবন পেতে চাও তবে তাঁর সব হুকুম পালন কর।”
18. সেই যুবকটি বলল, “কোন্ কোন্ হুকুম?”ঈসা বললেন, “খুন কোরো না, জেনা কোরো না, চুরি কোরো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না,
19. পিতা-মাতাকে সম্মান কোরো আর তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত কোরো।”
20. সেই যুবকটি ঈসাকে বলল, “আমি এগুলো সবই পালন করে আসছি, তবে আমাকে আর কি করতে হবে?”
21. ঈসা তাকে বললেন, “যদি তুমি পুরোপুরি খাঁটি হতে চাও তবে গিয়ে তোমার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে গরীবদের দান কর। তাতে তুমি বেহেশতে ধন পাবে। তারপর এসে আমার উম্মত হও।”
22. এই কথা শুনে যুবকটি খুব দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার অনেক ধন-সম্পত্তি ছিল।
23. তখন ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, ধনী লোকের পক্ষে বেহেশতী রাজ্যে ঢোকা কঠিন হবে।
24. আমি আবার তোমাদের বলছি, ধনী লোকের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢুকবার চেয়ে বরং সূচের ফুটা দিয়ে উটের ঢোকা সহজ।”
25. এই কথা শুনে সাহাবীরা আশ্চর্য হয়ে বললেন, “তাহলে কে নাজাত পেতে পারে?”