32. সমস্ত বীজের মধ্যে ওটা সত্যিই সবচেয়ে ছোট, কিন্তু গাছ হয়ে বেড়ে উঠলে পর তা সমস্ত শাক-সবজীর মধ্যে সবচেয়ে বড় হয়। ওটা এমন একটা বড় গাছ হয়ে ওঠে যে, পাখীরা এসে তার ডালপালায় বাসা বাঁধে।”
33. তিনি তাদের আর একটা গল্প বললেন। গল্পটা এই: “বেহেশতী রাজ্য খামির মত। একজন স্ত্রীলোক তা নিয়ে আঠারো কেজি ময়দার মধ্যে মিশাল। ফলে সমস্ত ময়দাই ফেঁপে উঠল।”
34. ঈসা গল্পের মধ্য দিয়ে লোকদের এই সব শিক্ষা দিলেন। তিনি গল্প ছাড়া কোন শিক্ষাই তাদের দিতেন না।
35. এটা হল যাতে নবীর মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হয়:শিক্ষা-ভরা উদাহরণের মধ্য দিয়ে আমি মুখ খুলব;দুনিয়ার শুরু থেকে যা যা লুকানো ছিল, তা বলব।
36. পরে ঈসা লোকদের ছেড়ে ঘরে ঢুকলেন। তখন তাঁর সাহাবীরা এসে তাঁকে বললেন, “জমির ঐ শ্যামাঘাসের গল্পটা আমাদের বুঝিয়ে দিন।”
37. জবাবে ঈসা তাঁদের বললেন, “যিনি ভাল বীজ বোনেন তিনি ইব্ন্তেআদম।
38. জমি এই দুনিয়া, আর বেহেশতী রাজ্যের লোকেরা ভাল বীজ। শয়তানের লোকেরা হল সেই শ্যামাঘাস।
39. যে শত্রু তা বুনেছিল সে হল ইবলিস, আর ফসল কাটবার সময় হল এই যুগের শেষ সময়। যাঁরা শস্য কাটবেন তাঁরা হলেন ফেরেশতা।
40. শ্যামাঘাস জড়ো করে যেমন আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যুগের শেষের সময়ও ঠিক তেমনি হবে। ইব্ন্তেআদম তাঁর ফেরেশতাদের পাঠিয়ে দেবেন।