8. এছাড়া ইউসুফের নিজের এবং তাঁর বাবার পরিবারের সকলে ও তাঁর ভাইয়েরাও তাঁর সংগে গেল। গোশনে তারা কেবল রেখে গেল তাদের ছোট ছেলেমেয়েদের ও তাদের গরু-ভেড়ার পাল।
9. অনেক রথ ও ঘোড়সওয়ার নিয়ে তারা একটা বিরাট দল হয়ে ইউসুফের সংগে চলল।
10. জর্ডান নদীর অন্য পারে আটদের খামার বাড়ী পর্যন্ত গিয়ে ইউসুফ সাত দিন ধরে তাঁর বাবার জন্য শোক-প্রকাশ করলেন। লোকেরাও খুব জোরে জোরে কান্নাকাটি করল।
11. আটদের খামারে তাদের এইভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখে সেই দেশের বাসিন্দারা, অর্থাৎ কেনানীয়রা বলল, “মিসরীয়দের এটা একটা গভীর শোক-প্রকাশ।” সেইজন্য জর্ডান নদীর অন্য পারের এই জায়গাটার নাম দেওয়া হয়েছিল আবেল্-মিস্রয়ীম (যার মানে “মিসরীয়দের শোক-প্রকাশ”)।
12. ইসরাইল তাঁর ছেলেদের যা করতে বলেছিলেন তা তারা করল।
13. তারা তাঁর দেহ কেনান দেশে নিয়ে গেল এবং মম্রির কাছে মক্পেলার জমির গুহাতে তাঁকে দাফন করল। কবরস্থান করবার জন্য জমি সুদ্ধ এই গুহাটাই ইব্রাহিম হিট্টীয় ইফ্রোণের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন।
14. বাবাকে দাফন করবার পর ইউসুফ, তাঁর ভাইয়েরা এবং যত লোক তাঁর বাবাকে দাফন করতে গিয়েছিল তারা সবাই মিসরে ফিরে গেল।
15. পিতা মারা গেছেন দেখে ইউসুফের ভাইয়েরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, “ইউসুফের মনে যদি আমাদের উপর প্রতিশোধ নেবার ভাব থাকে, আর আমরা তার প্রতি যে অন্যায় করেছি যদি সে তার শোধ নেয়, তখন আমরা কি করব?”
18. এর পর তাঁর ভাইয়েরা তাঁর সামনে এসে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বলল, “আমরা তোমার গোলাম।”
19. কিন্তু ইউসুফ তাদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না। আল্লাহ্র জায়গায় দাঁড়াবার আমি কে?
20. তোমরা আমার ক্ষতি করতে চেয়েছিলে, কিন্তু আল্লাহ্ তার ভিতর দিয়ে ভালোর পরিকল্পনা করেছিলেন যাতে অনেক লোকের প্রাণ রক্ষা পায়; আর আজ তা-ই হচ্ছে।
21. কাজেই তোমরা ভয় কোরো না। আমি তোমাদের ও তোমাদের ছেলেমেয়েদের খাবারের যোগান দেব।” এই সব আশার কথা বলে তিনি তাদের সান্ত্বনা দিলেন।
22. ইউসুফ ও তাঁর বাবার পরিবারের লোকেরা মিসরেই বাস করতে লাগলেন। ইউসুফ একশো দশ বছর বেঁচে ছিলেন।
23. তিনি আফরাহীমের তিন পুরুষ পর্যন্ত দেখে গিয়েছিলেন। এছাড়া মাখীরের ছেলেমেয়েদেরও জন্মের পর ইউসুফের কোলেই রাখা হয়েছিল। মাখীর ছিল মানশার ছেলে।