8. এর পরে ইউসুফের ছেলেদের দিকে তাকিয়ে ইসরাইল জিজ্ঞাসা করলেন, “ওরা কারা?”
9. জবাবে ইউসুফ তাঁর বাবাকে বললেন, “ওরা আমার ছেলে। আল্লাহ্ এই দেশেই ওদের আমাকে দিয়েছেন।”ইসরাইল বললেন, “ওদের আমার কাছে নিয়ে এস। আমি ওদের দোয়া করতে চাই।”
10. বুড়ো বয়সে চোখে দেখবার ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ইসরাইল ভাল করে দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেইজন্য ইউসুফ তাঁর ছেলেদের তাঁর বাবার কাছে নিয়ে গেলেন। তখন ইসরাইল তাদের জড়িয়ে ধরে চুম্বন করলেন।
11. তিনি ইউসুফকে বললেন, “আমি আর তোমার মুখ দেখতে পাব বলে ভাবি নি, কিন্তু আল্লাহ্ কেবল তোমাকে নয়, তোমার ছেলেদেরও আমাকে দেখতে দিলেন।”
12. তখন ইউসুফ তাঁর বাবার হাঁটুর পাশ থেকে তাঁর ছেলেদের সরিয়ে দিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁর বাবাকে সম্মান দেখালেন।
13. ইউসুফ তারপর তাঁর দুই ছেলেকে আবার ইসরাইলের কাছে আনলেন। তিনি আফরাহীমকে ডান হাতে ধরে ইসরাইলের বাঁ দিকে এবং মানশাকে বাঁ হাতে ধরে তাঁর ডান দিকে রাখলেন।
14. কিন্তু ইসরাইল আড়াআড়ি ভাবে হাত বাড়িয়ে ডান হাত ইউসুফের ছোট ছেলে আফরাহীমের মাথায় রাখলেন; আর মানশা ইউসুফের বড় ছেলে হলেও তার মাথায় রাখলেন তাঁর বাঁ হাত।
15. তারপর তিনি ইউসুফকে দোয়া করে বললেন,“সেই আল্লাহ্, যাঁর ইচ্ছামত আমার পূর্বপুরুষ ইব্রাহিম আর ইসহাক চলতেন,আমার জীবনের প্রথম থেকে আজ পর্যন্তযিনি আমাকে রাখালের মত পালন করে আসছেন,
16. সেই ফেরেশতা, যিনি আমাকে সমস্ত বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করেছেন,তিনি এই ছেলেদের দোয়া করুন।এদের মধ্য দিয়েই আমার ও আমার পূর্বপুরুষইব্রাহিম ও ইসহাকের নাম বেঁচে থাকুক।আমাদের দেশের মধ্যে তাদের বংশের লোকেরাসংখ্যায় অনেক বেড়ে উঠুক।”
19. কিন্তু তাঁর পিতা তাতে আপত্তি জানিয়ে বললেন, “আমি তা জানি বাবা, আমি তা জানি। সেও মহান হবে এবং তার বংশের লোকেরা একটা জাতি হয়ে গড়ে উঠবে। কিন্তু তার ছোট ভাই তার চেয়েও মহান হবে এবং তার বংশের লোকদের মধ্য থেকে অনেকগুলো জাতি গড়ে উঠবে।”
20. ইসরাইল তারপর ছেলে দু’টিকে দোয়া করলেন এবং বললেন, “ইসরাইলীয়রা কাউকে দোয়া করবার সময় তোমাদের নাম করে বলবে, ‘আল্লাহ্ তোমাকে আফরাহীম ও মানশার মত করুন।’ ” এই বলে তিনি মানশার চেয়ে আফরাহীমকে বড় স্থান দিলেন।