4. তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে অনেক সন্তানের পিতা হবার ক্ষমতা দিলাম এবং তোমার বংশের লোকদের সংখ্যা বাড়িয়ে দেব। আমি তোমার মধ্য থেকে একটা বহুগোষ্ঠীর জাতি সৃষ্টি করব, আর তোমার পরে এই দেশটা আমি চিরকালের সম্পত্তি হিসাবে তোমার বংশের লোকদের দেব।’
5. আমি তোমার কাছে আসবার আগে তোমার যে দু’টি ছেলের মিসরে জন্ম হয়েছে তাদের আমার সন্তানদের মধ্যেই ধরা হবে। রূবেণ আর শিমিয়োন যেমন আমার তেমনি আফরাহীম আর মানশাও আমার।
6. কিন্তু এদের পরে তোমার আর যে সব সন্তান হবে তাদের তোমার বলেই ধরা হবে। সম্পত্তির ওয়ারিশ হওয়ার সময় মানশা অথবা আফরাহীমের নামে তাদের তা হতে হবে।
7. পদ্দন থেকে বের হয়ে কেনান দেশের ইফ্রাথা থেকে কিছু দূরে থাকতেই রাহেলা ইন্তেকাল করলেন, আর তাতে আমি খুব দুঃখ পেলাম। ইফ্রাথের পথে, অর্থাৎ বেথেলহেমের পথে আমি তাঁকে দাফন করলাম।”
8. এর পরে ইউসুফের ছেলেদের দিকে তাকিয়ে ইসরাইল জিজ্ঞাসা করলেন, “ওরা কারা?”
9. জবাবে ইউসুফ তাঁর বাবাকে বললেন, “ওরা আমার ছেলে। আল্লাহ্ এই দেশেই ওদের আমাকে দিয়েছেন।”ইসরাইল বললেন, “ওদের আমার কাছে নিয়ে এস। আমি ওদের দোয়া করতে চাই।”
10. বুড়ো বয়সে চোখে দেখবার ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ইসরাইল ভাল করে দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেইজন্য ইউসুফ তাঁর ছেলেদের তাঁর বাবার কাছে নিয়ে গেলেন। তখন ইসরাইল তাদের জড়িয়ে ধরে চুম্বন করলেন।
11. তিনি ইউসুফকে বললেন, “আমি আর তোমার মুখ দেখতে পাব বলে ভাবি নি, কিন্তু আল্লাহ্ কেবল তোমাকে নয়, তোমার ছেলেদেরও আমাকে দেখতে দিলেন।”
12. তখন ইউসুফ তাঁর বাবার হাঁটুর পাশ থেকে তাঁর ছেলেদের সরিয়ে দিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁর বাবাকে সম্মান দেখালেন।