7. কিন্তু তারা তাকে বলল, “হুজুর, আপনি এই সব কথা কেন বলছেন? আপনার গোলামেরা এই রকম কাজ কখনও করবে না।
8. দেখুন, গতবারে আমাদের বস্তার মুখে যে টাকা পেয়েছিলাম তা আমরা কেনান দেশ থেকে আবার ফিরিয়ে এনেছিলাম। এর পর আপনার কর্তার বাড়ী থেকে আমরা রূপা বা সোনা চুরি করে আনব কেন?
9. যদি সেই পেয়ালা আপনার এই গোলামদের কারও কাছে পাওয়া যায় তবে তাকে যেন মেরে ফেলা হয়, আর তখন আমরাও আমাদের প্রভুর গোলাম হয়ে থাকব।”
10. সেই তদারককারী বলল, “বেশ, তোমরা যা বললে তা-ই হোক। কিন্তু যার কাছে সেই পেয়ালা পাওয়া যাবে কেবল সে-ই আমার গোলাম হয়ে থাকবে। অন্য কারও কোন দোষ থাকবে না।”
11. তখন প্রত্যেকে তাড়াতাড়ি করে তার বস্তা মাটিতে নামিয়ে খুলল।
12. সেই তদারককারী তখন বড় ভাইয়ের বস্তা থেকে শুরু করে ছোট ভাইয়ের বস্তা পর্যন্ত খুঁজে দেখল, আর বিন্ইয়ামীনের বস্তায় সেই পেয়ালা পাওয়া গেল।
13. এই ব্যাপার দেখে তারা তাদের কাপড় ছিঁড়ল। তারপর তারা তাদের গাধার পিঠে প্রত্যেকের বস্তা চাপিয়ে আবার শহরে ফিরে গেল।
14. এহুদা ও তার ভাইয়েরা যে সময় ইউসুফের বাড়ীতে গেল ইউসুফ তখনও সেখানে ছিলেন। তারা তাঁর সামনে গিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল।
15. তখন ইউসুফ তাদের বললেন, “তোমরা এ কি করেছ? আমার মত লোক যে সত্যিই সব কিছু গুণে বের করতে পারে তা কি তোমরা জানতে না?”