7. ইউসুফ ভাইদের দেখে চিনতে পারলেন, কিন্তু না চেনার ভান করে কর্কশভাবে তাদের বললেন, “তোমরা কোথা থেকে এসেছ?”তারা বলল, “আমরা কেনান দেশ থেকে শস্য কিনতে এসেছি।”
8. ইউসুফ তাঁর ভাইদের চিনতে পারলেও ভাইয়েরা কিন্তু তাঁকে চিনতে পারল না।
9. তাদের সম্বন্ধে তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই কথা তখন তাঁর মনে পড়ল। তিনি তাদের বললেন, “তোমরা গোয়েন্দা। আমাদের দেশের কোন্ কোন্ জায়গায় রক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই তোমরা তা দেখে নেওয়ার জন্য এসেছ।”
10. তারা তাঁকে বলল, “না, হুজুর, আপনার গোলামেরা শস্য কিনতে এসেছে।
11. আমরা সবাই একই বাবার সন্তান। আমরা অসৎ নই। আপনার গোলামেরা গোয়েন্দা নয়।”
12. তখন ইউসুফ আবার তাদের বললেন, “না, না, আমাদের দেশের কোন্ কোন্ জায়গায় রক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই, তোমরা তা দেখে নিতে এসেছ।”
13. কিন্তু তারা বলল, “আপনার গোলামেরা সবসুদ্ধ বারো ভাই। আমরা কেনান দেশের একজন লোকেরই সন্তান। আমাদের সবচেয়ে ছোট ভাইটি এখন বাবার কাছে রয়েছে, আর আমাদের অন্য এক ভাই বেঁচে নেই।”
14. ইউসুফ তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সম্বন্ধে যা বলেছি তা-ই ঠিক, তোমরা গোয়েন্দা।
15. এতেই তোমাদের পরীক্ষা হয়ে যাবে- তোমাদের ছোট ভাই যতক্ষণ পর্যন্ত এখানে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এখান থেকে ছাড়া পাবে না। আমার এই কথাটা আমি ফেরাউনের জীবনের কসম খেয়েই বলছি।
16. তোমাদের ছোট ভাইকে নিয়ে আসবার জন্য তোমাদের মধ্য থেকে একজনকে পাঠিয়ে দাও, আর বাকীরা সব বন্দী থাক। তোমাদের কথা সত্যি কি না এতেই তার প্রমাণ হবে। কিন্তু যদি তাকে নিয়ে না আস তবে ফেরাউনের জীবনের কসম খেয়ে বলছি যে, তোমরা গোয়েন্দা।”
17. এই বলে ইউসুফ তিন দিন পর্যন্ত তাদের সবাইকে জেলখানায় বন্দী করে রাখলেন।
18. তৃতীয় দিনে ইউসুফ তাদের বললেন, “আমি যা বলছি তা কর এবং প্রাণ রক্ষা কর, কারণ আমি আল্লাহ্কে ভয় করি।
19. তোমরা যদি সত্যিই সৎ লোক হও তবে তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে একজন এই জেলখানায় বন্দী থাকুক, আর বাকী সবাই তোমাদের উপবাসী পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে চলে যাক।
20. তোমাদের কথা যে সত্যি তা প্রমাণ করবার জন্য তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এস। তা হলেই তোমরা মৃত্যু থেকে রেহাই পাবে।” তারা তাতেই রাজী হল।