47. প্রচুর ফসলের সেই সাত বছরে দেশে অনেক ফসল হল।
48. তখন ইউসুফ সেই সাত বছর ধরে মিসরের সমস্ত বাড়তি শস্য শহরের গোলাঘরগুলোতে মজুদ করলেন। তিনি প্রত্যেক শহরে তার চারপাশের ক্ষেতগুলো থেকে ফসল এনে জমা করলেন।
49. এইভাবে তিনি সমুদ্রের বালুকণার মত প্রচুর শস্য মজুদ করলেন। এত বেশী শস্য জমা হতে লাগল যে, তা আর মাপা সম্ভব হল না। তাই তিনি তা মেপে নেওয়া বন্ধ করে দিলেন।
50. দুর্ভিক্ষের আগে হেলিওপলিস শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনতের গর্ভে ইউসুফের দু’টি ছেলের জন্ম হয়েছিল।
51. ইউসুফ তাঁর বড় ছেলের নাম রাখলেন মানশা (যার মানে “ভুলে যাওয়া”)। তিনি বললেন, “আল্লাহ্ আমার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট এবং আমার বাবার বাড়ীর কথা আমার মন থেকে মুছে ফেলেছেন।”
52. তারপর তিনি তাঁর দ্বিতীয় ছেলের নাম রাখলেন আফরাহীম (যার মানে “ফলবান”)। তিনি বললেন, “যে দেশে আমি দুঃখ-কষ্ট পেয়েছি সেই দেশেই আল্লাহ্ আমাকে ফলবান করেছেন।”
53. এর পর মিসর দেশে প্রচুর ফসলের সাত বছর শেষ হয়ে গেল।
54. তারপর শুরু হল দুর্ভিক্ষের সাত বছর। ইউসুফের কথামতই সব কিছু হল। আশেপাশের দেশগুলোও এই দুর্ভিক্ষ থেকে রেহাই পেল না, কিন্তু সারা মিসর দেশে কোথাও খাবারের অভাব হল না।
55. ক্ষুধায় কষ্ট পেয়ে মিসর দেশের লোকেরা যখন ফেরাউনের কাছে গিয়ে খাবার চাইল তখন ফেরাউন তাদের বললেন, “তোমরা ইউসুফের কাছে যাও। তিনি তোমাদের যা করতে বলেন, তোমরা তা-ই কর।”
56. এই দুর্ভিক্ষ দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। মিসর দেশে দুর্ভিক্ষ যখন ভয়ংকর হয়ে উঠল তখন ইউসুফ সমস্ত গোলাঘরগুলো খুলে দিলেন এবং মিসরীয়দের কাছে শস্য বিক্রি করতে লাগলেন।
57. অন্যান্য দেশেও দুর্ভিক্ষ এত ভীষণ হয়ে উঠল যে, সেখানকার লোকেরাও ইউসুফের কাছ থেকে শস্য কিনবার জন্য মিসরে আসতে লাগল।