39. এর পর ফেরাউন ইউসুফকে বললেন, “তোমার আল্লাহ্ যখন তোমার কাছেই এই সব প্রকাশ করেছেন তখন তোমার মত জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান আর কে আছে?
40. কাজেই রাজবাড়ীর সমস্ত ভার তোমাকেই নিতে হবে। তোমার মুখের হুকুম মেনেই আমার সমস্ত লোক চলবে। কেবল বাদশাহ্ হিসাবে আমি তোমার উপরে থাকব।”
41. ফেরাউন ইউসুফকে আরও বললেন, “মনে রেখ, আমি সারা মিসর দেশের উপর তোমাকে নিযুক্ত করলাম।”
42. তারপর ফেরাউন নিজের হাত থেকে সীলমোহর দেওয়ার আংটিটা খুলে নিয়ে ইউসুফের হাতে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁকে সুন্দর কাপড় পরিয়ে তাঁর গলায় একটা সোনার হার দিলেন।
43. এর পর তিনি ইউসুফকে তাঁর রাজ্যের দ্বিতীয় রথে বসালেন। রথ চলবার সময় ইউসুফের আগে আগে ঘোষণা করা হল, “হাঁটু পাত, হাঁটু পাত।” এইভাবে ফেরাউন ইউসুফের উপর সমস্ত মিসর দেশের ভার দিলেন।
44. পরে তিনি ইউসুফকে বললেন, “যদিও আমি এখনও বাদশাহ্ই আছি তবুও সারা মিসর দেশের লোক তোমার হুকুমেই ওঠা-বসা করবে।”
45. ফেরাউন ইউসুফের নতুন নাম দিলেন সাফনৎ-পানেহ। হেলিওপলিস শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনতের সংগে তিনি ইউসুফের বিয়ে দিলেন। এর পর ইউসুফ গোটা মিসর দেশটা ঘুরে আসবার জন্য বেরিয়ে পড়লেন।