পয়দায়েশ 39:5-22 Kitabul Mukkadas (MBCL)

5. ইউসুফকে এই সব ভার দেবার পর থেকে ইউসুফের দরুন মাবুদ সেই মিসরীয় মালিকের সব কিছুকে দোয়া করতে লাগলেন। পোটীফরের ঘর-বাড়ীর এবং ক্ষেত-খামারের সব কিছুকেই মাবুদ দোয়া করলেন।

6. এ দেখে পোটীফর তাঁর সব কিছুর ভার ইউসুফের উপর ছেড়ে দিলেন। ইউসুফের উপর সব ভার ছিল বলে পোটীফর একমাত্র নিজের খাওয়া ছাড়া আর কিছু নিয়ে চিন্তা করতেন না।ইউসুফের শরীরের গড়ন এবং চেহারা সুন্দর ছিল।

7. কিছু দিনের মধ্যে ইউসুফ তাঁর মালিকের স্ত্রীর নজরে পড়ে গেলেন। একদিন সে ইউসুফকে বলল, “আমার বিছানায় এস।”

8. কিন্তু ইউসুফ তাতে রাজী হলেন না। তিনি বললেন, “দেখুন, আমি এই বাড়ীতে আছি বলেই আমার মালিক কোন কিছুর জন্য চিন্তা করেন না। তাঁর সব কিছুর ভার তিনি আমার উপর ছেড়ে দিয়েছেন।

9. এই বাড়ীতে আমার উপরে আর কেউ নেই। আপনি তাঁর স্ত্রী, সেইজন্য একমাত্র আপনাকে ছাড়া আর সবাইকে তিনি আমার অধীন করেছেন। এই অবস্থায় আমি কি করে এত বড় একটা জঘন্য কাজ করে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করতে পারি?”

10. পোটীফরের স্ত্রী দিনের পর দিন সেই একই কথা বলতে লাগল। কিন্তু ইউসুফ তার সংগে শোবার এই অনুরোধে কান দিলেন না, এমন কি, তার কাছাকাছি থাকতেও রাজি হলেন না।

11. একদিন কোন কাজের জন্য ইউসুফ বাড়ীর ভিতরে গেলেন। তখন বাড়ীর কেউই সেখানে ছিল না।

12. এমন সময় পোটীফরের স্ত্রী ইউসুফের কাপড় টেনে ধরে বলল, “আমার বিছানায় এস।” ইউসুফ তখন কাপড়টা তার হাতে ফেলে রেখেই বাইরে পালিয়ে গেলেন।

15. আমার চিৎকার আর হাঁকডাক শুনে সে তার কাপড়টা আমার কাছে ফেলে রেখেই বাইরে পালিয়ে গেছে।”

16. ইউসুফের মালিক বাড়ী ফিরে না আসা পর্যন্ত কাপড়টা সে তার কাছেই রেখে দিল।

17. পরে সে পোটীফরের কাছে এই কথা জানাতে গিয়ে বলল, “তুমি যে ইবরানী গোলামকে আমাদের কাছে এনেছ সে আমাকে অপমান করবার মতলবে আমার ঘরে ঢুকেছিল।

18. কিন্তু আমি চিৎকার ও হাঁকডাক করাতে সে আমার কাছে তার কাপড় ফেলে রেখেই বাইরে পালিয়ে গেছে।”

19. স্ত্রীর কথা শুনে ইউসুফের মালিক রেগে আগুন হয়ে গেলেন, কারণ তাঁর স্ত্রী বলেছিল, “এমনি ধরনের ব্যবহারই তোমার গোলাম আমার সংগে করেছে।”

22. প্রধান জেল-রক্ষক জেলখানার সমস্ত কয়েদীদের ভার ইউসুফের উপরে দিলেন যেন সেখানকার সব কাজকর্ম ইউসুফের ইচ্ছামত হয়।

পয়দায়েশ 39