21. কিন্তু রূবেণ এই কথা শুনে তাদের হাত থেকে তাঁকে উদ্ধার করবার চেষ্টায় বলল, “ওকে প্রাণে মেরো না।”
22. সে তাদের পরামর্শ দিয়ে বলল, “খুন-খারাবি করতে যেয়ো না। ওর গায়ে হাত না তুলে বরং ওকে এই মরুভূমির এই গর্তটার মধ্যে ফেলে দাও।” পরে ইউসুফকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে পিতার হাতে তুলে দেবে মনে করেই সে এই কথাটা বলল।
23. ইউসুফ তাঁর ভাইদের কাছে এসে পৌঁছামাত্র তারা জোর করে তাঁর শরীর থেকে সেই পুরো হাতার লম্বা কোর্তাটা খুলে নিল।
24. তারপর তারা তাঁকে ধরে সেই গর্তের মধ্যে ফেলে দিল। গর্তটায় কোন পানি ছিল না, সেটা খালি ছিল।
25. এর পর ইউসুফের ভাইয়েরা খাওয়া-দাওয়া করতে বসে দেখতে পেল গিলিয়দ থেকে একদল ইসমাইলীয় ব্যবসায়ী আসছে। উটের পিঠে করে তারা খোশবু-মসলা, গুগ্গুলু ও গন্ধরস নিয়ে মিসর দেশে যাচ্ছিল।
26. তখন এহুদা তার ভাইদের বলল, “ধর, ভাইকে হত্যা করে আমরা কথাটা গোপন করলাম। তাতে আমাদের লাভটা কি?
27. ও তো আমাদের নিজের ভাই, আমাদেরই রক্ত-মাংস। তাই ওর গায়ে হাত না দিয়ে বরং এস, আমরা ওকে ইসমাইলীয়দের কাছে বিক্রি করে দিই।” ভাইয়েরা তার কথাটা মেনে নিল।
28. সেই মাদিয়ানীয় ব্যবসায়ীরা কাছে আসতেই ভাইয়েরা ইউসুফকে গর্ত থেকে টেনে তুলল এবং বিশ টুকরা রূপার বদলে ইসমাইলীয়দের কাছে তাঁকে বেঁচে দিল। সেই ব্যবসায়ীরা ইউসুফকে মিসরে নিয়ে গেল।
29-30. পরে রূবেণ সেই গর্তের কাছে গিয়ে ইউসুফকে দেখতে না পেয়ে দুঃখে তার কাপড় ছিঁড়ে ভাইদের কাছে গিয়ে বলল, “ইউসুফ তো ওখানে নেই। আমি এখন কি করি?”
31. তারা তখন একটা ছাগল কেটে তার রক্তে ইউসুফের সেই কোর্তাটা ডুবাল।
32. পরে তারা সেটা তাদের পিতার কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, “আমরা এটা কুড়িয়ে পেয়েছি। তুমি ভাল করে দেখ, কোর্তাটা তোমার ছেলের কি না।”
33. ইয়াকুব কোর্তাটা চিনতে পেরে বললেন, “এই কোর্তাটা আমার ছেলেরই। তাকে কোন বুনো জানোয়ারে খেয়ে ফেলেছে। জানোয়ারটা যে তাকে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।”