2. এই হল ইয়াকুবের পরিবারের কাহিনী। ইউসুফ তাঁর ভাইদের সংগে ছাগল ও ভেড়ার পাল চরাতেন। তাঁর এই ভাইয়েরা ছিল তাঁর সৎমা বিল্হা ও সিল্পার ছেলে। তাঁর বয়স যখন সতেরো বছর তখন তিনি তাঁর এই ভাইদের খারাপ চালচলনের কথা তাঁর পিতাকে জানালেন।
3. বুড়ো বয়সের সন্তান বলে ইউসুফকে ইসরাইল তাঁর অন্য ছেলেদের চেয়ে বেশী ভালবাসতেন। তিনি তাঁকে একটা পুরো হাতার লম্বা কোর্তা বানিয়ে দিয়েছিলেন।
4. ভাইয়েরা যখন বুঝল যে, পিতা তাদের চেয়ে ইউসুফকেই বেশী ভালবাসেন তখন তারা তাঁকে হিংসা করতে লাগল। তারা কোন কথাই তাঁর সংগে ভাল মনে বলতে পারত না।
5. একদিন ইউসুফ একটা স্বপ্ন দেখলেন। তিনি সেই কথা তাঁর ভাইদের বলাতে তারা তাঁকে আরও বেশী হিংসা করতে লাগল।
6. ইউসুফ তাদের বলেছিলেন, “শোন, আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি।
7. আমি দেখলাম, আমরা ক্ষেতে কেটে রাখা শস্যের আঁটি বাঁধছি; কিন্তু আশ্চর্য এই যে, আমার আঁটিটা সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াল। তারপর তোমাদের আঁটিগুলো আমার আঁটিটাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখাল।”
8. তখন তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে বলল, “তুই কি সত্যিই ভাবছিস্ তুই বাদশাহ্ হবি আর আমাদের উপর হুকুম চালাবি?” এইভাবে তাঁর স্বপ্ন আর তাঁর কথার জন্য তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে আরও বেশী করে হিংসা করতে লাগল।
9. এর পর ইউসুফ আরও একটা স্বপ্ন দেখলেন এবং তাঁর ভাইদের জানালেন। তিনি বললেন, “দেখ, আমি আবার একটা স্বপ্ন দেখেছি। আমি দেখলাম সূর্য, চাঁদ আর এগারোটা তারা আমাকে মাটিতে উবুড় হয়ে সম্মান দেখাছে।”
14-15. ইসরাইল তাঁকে আরও বললেন, “তোমার ভাইয়েরা আর ছাগল-ভেড়াগুলো কি অবস্থায় আছে তুমি গিয়ে সেই খবর নিয়ে এস।” এই বলে তিনি ইউসুফকে হেবরন উপত্যকা থেকে পাঠালেন।ইউসুফ যখন শিখিমে গিয়ে উপস্থিত হলেন তখন একজন লোক তাঁকে মাঠের মধ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কিসের তালাশ করছ?”
16. ইউসুফ বললেন, “আমি আমার ভাইদের তালাশ করছি। আপনি কি জানেন তাঁরা কোথায় ছাগল ও ভেড়ার পাল চরাচ্ছেন?”
17. লোকটি বলল, “তারা এখান থেকে চলে গেছে। আমি তাদের বলতে শুনেছিলাম, ‘চল, আমরা দোথনে যাই।’ ” তখন ইউসুফ তাঁর ভাইদের তালাশে দোথনে গিয়ে তাদের দেখা পেলেন।
18. ভাইয়েরা দূর থেকে ইউসুফকে দেখতে পেল এবং তাদের কাছে গিয়ে পৌঁছাবার আগেই তারা তাঁকে হত্যা করবার ষড়যন্ত্র করল।