13. আল্লাহ্ যে জায়গায় ইয়াকুবের সংগে কথা বলেছিলেন পরে তিনি সেখান থেকে উপরের দিকে উঠে গেলেন।
14. ঠিক সেই জায়গাতেই ইয়াকুব একটা পাথর থামের মত করে উচু করলেন এবং তার উপর তিনি ঢালন-কোরবানী করলেন। তার উপর তিনি তেলও ঢেলে দিলেন।
15. আল্লাহ্ যেখানে তাঁর সংগে কথা বলেছিলেন ইয়াকুব সেই জায়গার নাম রাখলেন বেথেল।
16. তারপর ইয়াকুব ও তাঁর পরিবার বেথেল থেকে যাত্রা করলেন। তাঁরা ইফ্রাথের পথে কিছু দূর যেতেই রাহেলার প্রসব-বেদনা শুরু হল এবং তাঁর খুব কষ্ট হতে লাগল।
17. প্রসব কালে তাঁর যন্ত্রণা যখন ভীষণ বেড়ে গেল তখন ধাত্রী তাঁকে বলল, “ভয় কোরো না, এবারও তোমার একটা ছেলে হবে।”
18. কিন্তু রাহেলা মারা গেলেন। মারা যাবার সময় তিনি ছেলেটির নাম রাখলেন বিনোনী (যার মানে “আমার দুঃখের ছেলে”)। কিন্তু তার বাবা তার নাম রাখলেন বিন্ইয়ামীন (যার মানে “সৌভাগ্যের ছেলে”)।
19. রাহেলার মৃত্যু হলে পর ইফ্রাথে, অর্থাৎ বেথেলহেমে যাবার পথেই তাঁকে দাফন করা হল।
20. ইয়াকুব তাঁর কবরের উপরে থামের মত করে একটা পাথর স্থাপন করলেন। সেটা আজও রাহেলার কবরের চিহ্ন হিসাবে সেখানেই আছে।
21. এর পর ইসরাইল, অর্থাৎ ইয়াকুব আবার চলতে লাগলেন। তিনি মিগ্দল-এদর নামে জায়গাটা পিছনে ফেলে এসে তাঁর তাম্বু ফেললেন।
22. ইসরাইল যখন সেই এলাকায় বাস করছিলেন তখন রূবেণ তার পিতার উপস্ত্রী বিল্হার সংগে জেনা করল। কথাটা ইসরাইলের কানে গেল।ইয়াকুবের বারোজন ছেলে ছিল।
23. লেয়ার গর্ভে ইয়াকুবের প্রথম সন্তান রূবেণের জন্ম হয়েছিল। তারপর জন্মেছিল শিমিয়োন, লেবি, এহুদা, ইষাখর ও সবূলূন।
24. রাহেলার গর্ভে জন্মেছিল ইউসুফ আর বিন্ইয়ামীন।