8. কিন্তু হমোর ইয়াকুব ও তাঁর ছেলেদের বলল, “আপনার মেয়ের প্রতি আমার ছেলের প্রাণের টান রয়েছে। আমার ছেলের সংগে আপনার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিন।
9. আমাদের সংগে আপনারা বিয়ের ব্যবস্থা চালু করুন। আপনাদের মেয়েদের আমাদের দিন এবং আমাদের মেয়েদের আপনারা নিন।
10. আপনারা আমাদের মধ্যে বাস করুন। গোটা দেশটাই তো আপনাদের সামনে পড়ে আছে। আপনারা এখানেই থাকুন, খুশী মত চলাফেরা করুন এবং ধন-সম্পত্তির মালিক হন।”
11. এছাড়া শিখিমও মেয়েটির পিতা ও ভাইদের বলল, “আমার উপর যদি আপনাদের দয়া হয়, তবে আপনারা আমার কাছে যা চাইবেন আমি তা-ই দেব।
12. এই বিয়ের মহরানা আর উপহার হিসাবে আপনারা যা দাবি করবেন আমি তা সবই দেব। আপনারা কেবল মেয়েটিকে আমার সংগে বিয়ে দিন।”
15. তবে একটা কাজ করলে আমরা এতে রাজী হতে পারি। সেটা হল, আপনাদের প্রত্যেকটি পুরুষকে খৎনা করিয়ে আমাদের মত হতে হবে।
16. তাহলে আমাদের মেয়েদের আপনাদের দেব এবং আপনাদের মেয়েদের আমরা নেব; আর আমরা আপনাদের সংগে এক জাতি হয়ে বাস করব।
17. কিন্তু যদি আপনারা আমাদের কথা না শোনেন এবং খৎনা করাবার কথা মেনে না নেন, তবে আমাদের মেয়েকে নিয়ে আমরা এখান থেকে চলে যাব।”
18. তাদের এই কথায় হমোর ও তার ছেলে শিখিম খুশী হল।
19. পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানী লোক শিখিম আর দেরি না করে কথাটা মেনে নিল, কারণ ইয়াকুবের মেয়ের প্রতি তার খুব টান ছিল।
20. সেইজন্য শহরের সদর দরজার কাছে গিয়ে হমোর ও তার ছেলে শিখিম সেখানকার লোকদের বলল,
21. “এই লোকেরা আমাদের বন্ধু। আমাদের দেশে তাদের থাকবার জন্য অনেক জায়গাও রয়েছে। এরা এখানেই থাকুক আর খুশীমত চলাফেরা করুক। চলুন, আমরা তাদের মেয়েদের নিই এবং আমাদের মেয়েদেরও তাদের দিই।
22. শুধুমাত্র একটা কাজ করলে তারা আমাদের সংগে বাস করে এক জাতি হতে রাজী আছে। সেটা হল, তাদের মত করে আমাদের মধ্যেকার প্রত্যেকটি পুরুষের খৎনা করাতে হবে।
23. তাদের গরু-ভেড়া, বিষয়-সম্পত্তি এবং সমস্ত পশুপাল আমাদের মধ্যেই থাকবে। তাই আসুন, আমরা তাদের কথায় রাজী হই। তাহলে তারা আমাদের সংগে বাস করবে।”
24. এতে শহরের পুরুষ লোকেরা সকলেই হমোর ও তার ছেলে শিখিমের কথায় রাজী হল, আর তাদের সকলের খৎনা করানো হল।
25. এর তিন দিনের দিন যখন পুরুষেরা ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিল তখন দীণার নিজের ভাই, অর্থাৎ ইয়াকুবের দুই ছেলে শিমিয়োন ও লেবি তলোয়ার নিয়ে শহরে ঢুকে প্রতিটি পুরুষকে হত্যা করল। এই রকম কিছু হবে বলে শহরের কারও মনে কোন সন্দেহ ছিল না।