43. এই কথার জবাবে লাবন ইয়াকুবকে বললেন, “এই মেয়েরা আমারই মেয়ে, এই ছেলেমেয়েরা আমারই নাতি-নাত্নী, আর এই সব পশুর পালও আমার। তুমি এখানে যা কিছু দেখছ তা সবই আমার; তবু আজকে আমার এই মেয়েদের বা তাদের ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে আমার করবার কিছু নেই।
44. তার চেয়ে এস, আমরা দু’জনে একটা চুক্তি করি যা তোমার ও আমার মধ্যে সাক্ষী হয়ে থাকবে।”
45-46. তখন ইয়াকুব একটা পাথর নিয়ে থামের মত করে দাঁড় করালেন আর তাঁর আত্মীয়দের বললেন, “আপনারা কিছু পাথর এনে জড়ো করুন।” তখন তারা পাথর এনে জড়ো করে একটা ঢিবি করল আর সকলেই তার পাশে খাওয়া-দাওয়া করল।
47. লাবন সেই ঢিবির নাম রাখলেন যিগর্-সাহদূথা (যার মানে “সাক্ষ্য-ঢিবি”), কিন্তু ইয়াকুব তাঁর নিজের ভাষায় তার নাম দিলেন গল্-এদ (যার মানেও “সাক্ষ্য-ঢিবি”)।
48. লাবন বললেন, “এই ঢিবিটাই আজ তোমার ও আমার মধ্যে সাক্ষী হয়ে রইল।” এইজন্য এই ঢিবিটার নাম দেওয়া হয়েছিল গল্-এদ।
49. তা ছাড়া এর আর একটা নাম দেওয়া হয়েছিল মিসপা (যার মানে “পাহারা-স্থান”), কারণ লাবন বলেছিলেন, “আমরা যখন আর একে অন্যকে দেখব না তখন মাবুদই যেন আমার ও তোমার উপর চোখ রাখেন।
50. যদি তুমি আমার মেয়েদের সংগে খারাপ ব্যবহার কর, কিংবা আমার মেয়েরা থাকতেও অন্য স্ত্রী গ্রহণ কর, তবে আর কেউ আমাদের সংগে না থাকলেও মনে রেখো, আল্লাহ্ আমাদের সাক্ষী হয়ে রইলেন।”
51. লাবন ইয়াকুবকে আরও বললেন, “এই ঢিবির দিকে চেয়ে দেখ, আর এই যে থামটা আমি আমার ও তোমার মধ্যে রেখেছি সেটার দিকেও চেয়ে দেখ।