12. তিনি বললেন, ‘তুমি চোখ তুলে দেখ, ছাগীদের উপর যে সব ছাগলগুলো উঠছে সেগুলো ডোরাকাটা এবং বড় বড় ও ছোট ছোট ছাপের। লাবন তোমার প্রতি যা করেছে তা সবই আমি দেখেছি।
13. আমি সেই বেথেলের আল্লাহ্ যেখানে তুমি থামের উপর তেল ঢেলে দিয়ে আমার কাছে কসম খেয়েছিলে। এখন এই দেশ ছেড়ে তোমার জন্মস্থানে ফিরে যাও।’ ”
14. এই কথা শুনে রাহেলা ও লেয়া বললেন, “বাবার সম্পত্তির কোন অংশ আমাদের এখনও নেই আর পরেও থাকবে না।
15. তিনি তো আমাদের বাইরের লোক বলেই মনে করেন, কারণ তিনি আমাদের বিক্রি করে দিয়েছেন এবং যা পেয়েছেন তা খেয়ে বসে আছেন।
16. সেইজন্য আমাদের বাবার সম্পত্তি থেকে আল্লাহ্ যা নিয়েছেন সেগুলো নিশ্চয়ই এখন আমাদের এবং আমাদের ছেলেমেয়েদের। কাজেই আল্লাহ্ তোমাকে যা বলেছেন তুমি এখন তা-ই কর।”
17-18. এর পর ইয়াকুব তাঁর ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীদের উটের পিঠে তুলে দিয়ে কেনান দেশে তাঁর পিতা ইসহাকের কাছে রওনা হলেন। যে সব পশুপাল এবং অন্যান্য ধন-সম্পত্তি তিনি পদ্দন-ইরামে লাভ করেছিলেন সেগুলোও তিনি সংগে নিলেন।
19. এই সময় লাবন তাঁর ভেড়াগুলোর লোম কাটবার জন্য গিয়েছিলেন, আর এই সুযোগে রাহেলা তাঁর পিতার পারিবারিক দেবমূর্তিগুলো চুরি করে নিলেন।
20. ইয়াকুব তাঁর যাওয়ার কথা সিরীয় লাবনকে না জানিয়ে তাঁর উপর একটা চালাকি খাটালেন।
21. এইভাবে ইয়াকুব তাঁর নিজের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেলেন। তিনি ফোরাত নদী পার হয়ে গিলিয়দ এলাকার পাহাড়ী অঞ্চলের দিকে যেতে লাগলেন।
22. এর তিন দিনের দিন লাবন জানতে পারলেন যে, ইয়াকুব পালিয়েছেন।
23. তখন তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ইয়াকুবের পিছনে ধাওয়া করে সাত দিনের পথ গেলেন, আর গিলিয়দের পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে তাঁর নাগাল পেলেন।
24. কিন্তু আল্লাহ্ রাতের বেলা স্বপ্নে সিরীয় লাবনের কাছে এসে বললেন, “সাবধান! ইয়াকুবকে ভাল-মন্দ কিছুই বোলো না।”
25. ইয়াকুব পাহাড়ের উপর তাম্বু ফেলেছিলেন, আর সেখানেই লাবন গিয়ে তাঁকে ধরলেন। লাবন ও তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরাও গিলিয়দের সেই একই পাহাড়ে তাঁদের তাম্বু ফেললেন।
26. পরে লাবন ইয়াকুবকে বললেন, “তুমি এ কি করলে? কেন আমাকে ঠকালে আর আমার মেয়েদের যুদ্ধে বন্দীর মত করে নিয়ে আসলে?
27. কেন তুমি চালাকি করে আমাকে না বলে গোপনে পালিয়ে আসলে? আমাকে বললে তো আমি আনন্দের সংগে, গান করে, খঞ্জনি ও বীণা বাজিয়ে তোমাকে বিদায় দিতাম।
28. তুমি আমার মেয়েদের ও নাতি-নাত্নীদের চুম্বন করতেও আমাকে দিলে না; তুমি বোকার মত কাজ করেছ।
29. তোমাদের ক্ষতি করবার ক্ষমতা যে আমার হাতে নেই, তা নয়। কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ গত রাতে আমাকে বলেছেন, ‘সাবধান! ইয়াকুবকে ভাল-মন্দ কিছুই বোলো না।’
30. বেশ, তোমার বাবার বাড়ী যাবার জন্যই না হয় তোমার প্রাণ কাঁদছিল আর তাই তুমি বেরিয়ে পড়েছ, কিন্তু আমার পারিবারিক দেবতাগুলো চুরি করে এনেছ কেন?”
31. ইয়াকুব জবাবে তাঁকে বললেন, “আমার ভয় হয়েছিল, কারণ আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়তো জোর করে আপনার মেয়েদের আমার কাছ থেকে কেড়ে রেখে দেবেন। তাই আমি পালিয়ে এসেছি।
32. আপনি যার কাছে আপনার ঐ দেবতাগুলো পাবেন তাকে হত্যা করা হবে। আমার সমস্ত জিনিসপত্রের মধ্যে যদি আপনার কোন কিছু থেকে থাকে তবে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সামনে তা তালাশ করে নিয়ে নিন।” সেই দেবমূর্তিগুলো যে রাহেলাই চুরি করে এনেছেন তা ইয়াকুব জানতেন না।