10. ইয়াকুব তাঁর মামা লাবনের মেয়ে ও তাঁর ভেড়ার পাল দেখে কূয়ার কাছে গেলেন এবং কূয়ার মুখ থেকে পাথরটা সরিয়ে দিয়ে ভেড়াগুলোকে পানি খাওয়ালেন।
11. তারপর তিনি রাহেলাকে চুম্বন করে জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন।
12. তিনি রাহেলাকে জানালেন যে, তিনি তাঁর পিতার আত্মীয়, রেবেকার ছেলে। এই কথা শুনে রাহেলা দৌড়ে গিয়ে তাঁর পিতাকে সেই খবর দিলেন।
13. লাবন তাঁর বোনের ছেলে ইয়াকুবের আসবার খবর পেয়ে দৌড়ে তাঁর সংগে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করলেন এবং তাঁকে নিজের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। তখন ইয়াকুব লাবনকে তাঁর আসবার সব কথা জানালেন।
14. লাবন তাঁকে বললেন, “সত্যিই আমাদের শরীরে একই রক্ত বইছে।” এর পর ইয়াকুব লাবনের বাড়ীতে এক মাস কাটালেন।
15. একদিন লাবন বললেন, “তুমি আমার আত্মীয় বলেই কি বিনা বেতনে আমার কাজ করবে? তোমাকে কি দিতে হবে আমাকে বল।”
16. লাবনের দু’টি মেয়ে ছিল। বড়টির নাম লেয়া আর ছোটটির নাম রাহেলা।
17. লেয়ার থাকবার মধ্যে ছিল শুধু দু’টি সুন্দর চোখ, কিন্তু রাহেলার শরীরের গড়ন ও চেহারা সবই ছিল সুন্দর।
18. ইয়াকুব রাহেলাকে ভালবাসতেন বলে তিনি বললেন, “আপনার ছোট মেয়ে রাহেলার জন্য সাত বছর আমি আপনার কাজ করব।”
19. লাবন বললেন, “রাহেলাকে অন্য কোন লোকের হাতে দেবার চেয়ে তোমার হাতে দেওয়াই ভাল। তুমি আমার কাছেই থাক।”
20. এর পর ইয়াকুব রাহেলার জন্য সাত বছর কাজ করলেন। ইয়াকুব রাহেলাকে ভালবাসতেন বলে সেই বছরগুলো তাঁর কাছে মাত্র কয়েক দিন বলে মনে হল।
21. তারপর ইয়াকুব লাবনকে বললেন, “আমার কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যাঁর জন্য আমি কাজ করেছি এবার তাঁকে আমার হাতে তুলে দিন যেন তাঁকে নিয়ে আমি বাস করতে পারি।”
22. তখন লাবন সেই এলাকার সব লোকদের ডেকে একটা মেজবানী দিলেন।
23. পরে রাত হলে তিনি তাঁর মেয়ে লেয়াকে ইয়াকুবের কাছে দিয়ে আসলেন, আর ইয়াকুবও তাঁর সংগে থাকলেন।
24. লাবন তাঁর বাঁদী সিল্পাকেও লেয়ার বাঁদী হিসাবে দিয়েছিলেন।
25. সকাল হলে পর ইয়াকুব আশ্চর্য হয়ে দেখলেন যে, তিনি লেয়া। সেইজন্য তিনি লাবনকে বললেন, “আপনি আমার সংগে এ কি রকম ব্যবহার করলেন? এতদিন কি আমি রাহেলার জন্যই আপনার কাজ করি নি? তবে কেন আপনি আমাকে ঠকালেন?”
26. লাবন বললেন, “বড় মেয়ের আগে ছোট মেয়ের বিয়ে দেওয়া আমাদের দেশের নিয়ম নয়।
27. তুমি এই বিয়ের উৎসব-সপ্তাটা পার হতে দাও। তারপর অন্য মেয়েটিকেও তোমাকে দেওয়া হবে। তবে তার জন্য তোমাকে আরও সাত বছর আমার কাজ করতে হবে।”