14. তাঁর ভেড়া, গরু ও গোলামদের সংখ্যা এত বেড়ে গেল যে, তা দেখে ফিলিস্তিনীরা তাঁকে হিংসা করতে লাগল।
15. ইব্রাহিমের সময়ে তাঁর গোলামেরা যে সব কূয়া খুঁড়েছিল ফিলিস্তিনীরা সেগুলো মাটি ফেলে বন্ধ করে দিয়েছিল।
16. পরে আবিমালেক ইসহাককে বললেন, “আপনি আমাদের কাছ থেকে চলে যান, কারণ আপনি আমাদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন।”
17. কাজেই ইসহাক সেখান থেকে সরে গিয়ে গরারের শুকনা নদীর উপরে তাম্বু ফেলে বাস করতে লাগলেন।
18. সেখানে তাঁর পিতা ইব্রাহিমের সময়ে যে সব কূয়া খোঁড়া হয়েছিল ইসহাক আবার সেই কূয়াগুলো খুঁড়িয়ে নিলেন, কারণ ইব্রাহিমের ইন্তেকালের পর ফিলিস্তিনীরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। তাঁর পিতা সেই কূয়াগুলোর যেটির যে নাম দিয়েছিলেন তিনি সেটির সেই নামই দিলেন।
19. ইসহাকের গোলামেরা সেই শুকনা নদীতে কূয়া খুঁড়তে গিয়ে এমন একটা কূয়া খুঁজে পেল যার তলা থেকে পানি উঠছিল।
20. কিন্তু গরারের রাখালেরা ইসহাকের রাখালদের সংগে ঝগড়া করে বলল, “এই পানি আমাদের।” এই ঝগড়ার জন্য ইসহাক সেই কূয়ার নাম দিলেন এষক (যার মানে “ঝগড়া”)।
21. পরে ইসহাকের রাখালেরা আর একটা কূয়া খুঁড়ল, কিন্তু সেটা নিয়েও তারা ঝগড়া করতে লাগল। এ দেখে ইসহাক সেটার নাম দিলেন সিট্না (যার মানে “শত্রুতা”)।
22. তারপর ইসহাক সেখান থেকে সরে গিয়ে আর একটা কূয়া খুঁড়ালেন। এবার কিন্তু ফিলিস্তিনীরা তা নিয়ে কোন ঝগড়া-বিবাদ করল না। ইসহাক সেই কূয়াটার নাম রাখলেন রহোবোৎ (যার মানে “অনেক জায়গা”)। তিনি বললেন, “শেষ পর্যন্ত মাবুদই আমাদের জায়গা করে দিলেন যাতে আমরা এখানেই সংখ্যায় বেড়ে উঠতে পারি।”
23. পরে ইসহাক সেখান থেকে সরে বের্-শেবাতে গেলেন।
24. সেই রাতেই মাবুদ তাঁকে দেখা দিয়ে বললেন, “আমি তোমার পিতা ইব্রাহিমের আল্লাহ্। কোন ভয় কোরো না, কারণ আমি তোমার সংগে আছি। আমার গোলাম ইব্রাহিমের জন্যই আমি তোমাকে দোয়া করব এবং তোমার বংশ বাড়িয়ে দেব।”