4. ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ ও ইল্দায়া ছিল মাদিয়ানের সন্তান। এরা সবাই ছিল কাতুরার সন্তান এবং তাঁর সন্তানদের বংশ।
5. ইব্রাহিম তাঁর সমস্ত ধন-সম্পত্তি ইসহাককে দিয়েছিলেন।
6. অবশ্য তাঁর উপস্ত্রীদের সন্তানদেরও তিনি বেঁচে থাকতেই অনেক কিছু দান করেছিলেন। এই সন্তানদের তিনি ইসহাকের সংগে না রেখে দূরে পূর্ব দিকের একটা দেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
7. ইব্রাহিম মোট একশো পঁচাত্তর বছর বেঁচে ছিলেন।
8. একটি সুন্দর ও সুখী জীবন কাটিয়ে অনেক বয়সে তিনি ইন্তেকাল করে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন।
9. মম্রি শহরের পূর্ব দিকে হিট্টীয় সোহরের ছেলে ইফ্রোণের জমিতে মক্পেলার গুহায় তাঁর ছেলে ইসহাক ও ইসমাইল তাঁকে দাফন করলেন।
10. এই জমিটাই তিনি হিট্টীয়দের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। এখানেই তাঁর স্ত্রী সারাকে এবং তাঁকে দাফন করা হয়েছিল।
11. ইব্রাহিমের ইন্তেকালের পর তাঁর ছেলে ইসহাককে আল্লাহ্ দোয়া করলেন। ইসহাক বের্-লহয়-রোয়ীর কাছে বাস করতে থাকলেন।
12. সারার বাঁদী মিসরীয় হাজেরার গর্ভে ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাইলের জন্ম হয়েছিল।
13. এই হল ইসমাইলের বংশের কথা: জন্ম অনুসারে তাঁর ছেলেদের নাম হল, প্রথমে নাবায়ুত, তারপর কায়দার, অদ্বেল, মিব্সম,
14. মিশ্ম, দূমা, মসা,
15. হদদ, তেমা, যিটূর, নাফীশ ও কেদমা।
16. ইসমাইলের এই বারোজন ছেলেই ছিলেন বারো গোষ্ঠীর সর্দার। তাঁদের নাম অনুসারেই তাঁদের গ্রাম এবং গ্রামের বাইরে তাম্বু-ফেলা জায়গাগুলোর নাম রাখা হয়েছিল।
17. ইসমাইল মোট একশো সাঁইত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। তারপর তিনি ইন্তেকাল করে তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন।
18. হবীলা থেকে শূর পর্যন্ত যে জায়গাটা ছিল তাঁর বংশের লোকেরা সেখানে বাস করত। জায়গাটা ছিল মিসরের কাছে, আশেরিয়া যাবার পথে। তাদের ভাই ইসহাকের বংশধরদের দেশের কাছে তারা বাস করত।
19. এই হল ইব্রাহিমের ছেলে ইসহাকের জীবনের ইতিহাস। ইব্রাহিমের ছেলে ইসহাক।
20. ইসহাক চল্লিশ বছর বয়সে রেবেকাকে বিয়ে করেছিলেন। রেবেকা ছিলেন পদ্দন-ইরাম দেশের সিরীয় বথূয়েলের মেয়ে এবং সিরীয় লাবনের বোন।